ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ী-ঘর দ্রুত মেরামত করে দেবো : প্রধান মন্ত্রী
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ’ঘূর্নিঝড় রেমাল’র আঘাতে যাদের ঘর বাড়ী ভেঙেছে, তারা যাতে আবার নির্মান করতে পারেন, মেরামত করতে পারেন আমি সে ব্যবস্থা করে দেবো। নতুন উদ্যমে কৃষক যাতে কৃষি কাজ শুরু করতে পারে সেজন্য আমি আপনাদের বীজ, সার দেবো। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ, রাস্তা ঘাট, পুল, ব্রীজ মেরামত করে দেবা। আমরা ইতিমধ্যেই নির্মান কাজ শুরু দিয়েছি, বর্ষার আগে নির্মান কাজ সম্পন্ন করবো। আপনারা আমার উপর ভরসা রাখুন।’-বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বৃহস্পতিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের সরকারী মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে ঘূর্নিঝড় রেমাল’র তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রান বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,’এই দুর্যোগে যারা সহযোগীতা করেছেন, মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, আধা সামরিক, সামরিক কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে আমি ধন্যবাদ দেবো। আমরা চাই এই অঞ্চলের মানুষ যেন দুর্যোগ থেকে মুক্তি পায়। এই অঞ্চল সবসময় দুর্যোগ প্রবন, তাই আমি আজ আপনাদের পাশে হাজির হয়েছি। আমি আসার সময় ভালো ভাবে দেখেছি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। উপকূলীয় এলাকায় আমি আপনাদের দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দিয়েছি এবং আরও করে দেবা। বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করেছিল, দু:খী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিল, মানুষের কল্যানেই তিঁনি তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবু নির্মল নন্দীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ’দক্ষিনাঞ্চল সবসময় অবহেলিত ছিল। আমি আপনাদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর, শের-ই-বাংলা নাভাল বেইজ করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, নিত্যপন্য মানুষ যাতে সহজে কিনতে পারে সেজন্য আমি ফ্যামিলি কার্ড করে দিয়েছি। দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মান করবো। ’
উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রান বিতরন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মো: মহিব্বুর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক এমপি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জাতীয় সংসদের সাবেক চীপ হুইপ আসম ফিরোজ এমপি, শাম্মি আখতার এমপি, আওয়ামীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল হাফিজ মল্লিক এমপি, আওয়ামীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর, সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আবদুল মান্নান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমূখ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী সদর আসনের এমপি এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাদ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর ১২:২০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টার যোগে খেপুপাড়া সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অবতরন করেন। জনসভাস্থলে পৌঁছে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার মানুষের মাঝে তিঁনি ত্রান সামগ্রী বিতরন করেন। জনসভা শেষে তিঁনি শেখ কামাল সেতু পরিদর্শন করে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কনফারেন্স রুমে বরিশাল বিভাগীয় উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। বিকাল ৩টায় তিঁনি পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়না দেন।