আমতলী ও তালতলীতে শাস্তিপুর্ণ ভোট গ্রহন
কম ভোটার উপস্থিতিতে আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলে এ ভোট গ্রহন। অপর দিকে তালতলী উপজেলায় ভোট গ্রহনের চিত্র ছিল উল্টো। সকাল থেকে লাইনে দাড়িয়ে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। তবে কোন অপ্রতিকর ঘটনা ছাড়াই দুই উপজেলায় ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে।
জানাগেছে, বুধবার সকাল থেকে শান্তিপুর্ণভাবে আমতলী উপজেলায় চলে ভোট গ্রহন । তবে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। সকাল ৮ টা থেকে বেলা ১০ টা পর্যন্ত অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ছিল ভোটার শুন্য। ভোট দিতে লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়নি ভোটারদের। একজন ভোট দিতে গেলে আবার পাঁচ মিনিট পরে আরেকজন ভোটার এসে ভোট দিয়ে গেছেন। আবার বেলা ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত কিছু ভোটার আসেন। তারা ভোট দিয়ে চলে যায়। দুপুর ১২ টার পরে ভোটার শুন্য ছিল অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র। সর্বশেষ চার পর্যন্ত আমতলী উপজেলার ২৪% ভোট গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাচন অফিসার সেলিম রেজা। এ উপজেলায় এক লক্ষ ৭২ হাজার তি’শ ৩৭ ভোট।
অপর দিকে তালতলী উপজেলায় ছিল তার উল্টো চিত্র। সকাল থেকেই ভোটাররা লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিয়েছেন। সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি ছিল বেশ। দুপুরের দিকে কিছু ভোটার উপস্থিতি কমে যায়। আবার দুপুরের পরে ভোটার উপস্থিতি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ উপজেলায় ৮২ হাজার ৫’শ ৩৪ ভোট। বিকেল চারটা পর্যন্ত এ উপজেলায় ৫২.৭৩% ভোটা গ্রহন হয়েছে বলে জানান তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসার গোলাম মোস্তফা। চন্দনতলা আব্দুল গফুর দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোটার সবুরজাত বিবি বলেন, মুই শান্তিমত ভোট দিছি। এতো সুন্দর ভোট আর দেহি নাই। পচাঁকোড়ালিয়া বাবু আলী দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ভোটার শাহ আলম বলেন, খুব সুন্দর ভোট হয়েছে। কোন প্রভাব ছাড়াই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি। আমতলী পৌর শহরের বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভোটার জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, সুষ্টু ভোট গ্রহন হয়েছে। শান্তিপুর্ণ ভোটে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, শান্তিপুর্ণ ভোট গ্রহনে কোথাও কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার সিফাত আনোয়ারা তুমপা বলেন, শান্তিপুর্ণভাবে ভোট গ্রহন শেষে হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, শান্তিপুর্ণভাবে ভোট গ্রহন শেষ হয়েছে।