কাউকে জবাব দেয়ার জন্য খেলি না: সাকিব
বীরেন্দর শেবাগের মন্তব্য, চারপাশ থেকে ধেয়ে আসা প্রশ্নের তীর সবকিছু পারফরম্যান্স দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু প্রেস ব্রিফিংয়ে নিজেকে যতটা সম্ভব ‘রিজার্ভ’ রাখলেন তিনি। বললেন, কাউকে জবাব দেয়ার জন্য খেলি না।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন সেই ২০২১ সালে। প্রথম দুই ম্যাচে বোলিং করেছেন মাত্র ৪ ওভার। ব্যাটসম্যান সাকিব এমনই বিবর্ণ যেন ব্যাটিং করাই ভুলে গেছেন। ডাচ্দের বিপক্ষে ৬৪ রানের ইনিংস খেলে সাকিব বলেন, ‘আমি কাউকে উত্তর দেওয়ার জন্য ক্রিকেট খেলি না। আমার মনে হয়, ক্রিকেট খেলায় ব্যাটসম্যানদের কাজ ব্যাটিং করা, রান করা। বোলারদের কাজ উইকেট নেওয়া। ফিল্ডারদের কাজ ভালো ফিল্ডিং করা, ক্যাচ নেওয়া।’
সাকিব বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে কেউ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে অতটা ভাবে না। দলে কতটা অবদান রাখা গেল, এটাই আসল কথা।
টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথম চার ব্যাটসম্যানের কারও ১৬/১৭ ওভার ব্যাটিং করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আজ আমি তা করতে পেরেছি বলে খুশি।’ ম্যাচ যখন আস্তে আস্তে বাংলাদেশের হাতছাড়া হচ্ছিল, তখন রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে আবারো খেলায় ফেরে বাংলাদেশ। জয়ের কৃতিত্ব এই দুই সতীর্থকে দিচ্ছেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘খেলায় নেদারল্যান্ডসের মোমেন্টাম ছিল। এক পর্যায়ে তারা ভালো জায়গায় চলে যায়। শেষ পাঁচ ওভারে ১০ করে লাগতো, এটা যেকোনো দিকে যেতে পারতো। তাদের আটকে রাখা সহজ ছিল না। আমাদের বোলাররা নিখুঁতভাবে কাজটা করেছে। বিশেষ করে ফিজ ও রিশাদ যেভাবে বল করেছে তাতে আমরা ম্যাচটা নেদারল্যান্ডসের হাত থেকে বের করে নিতে পেরেছি।’
সেন্ট ভিনসেন্টে ২০১৪ সালের পর কোনো ম্যাচ না হওয়ায় কন্ডিশন কেমন হবে তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘এখানে চার-পাঁচ বছরে তেমন কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি। এজন্য বোঝা যাচ্ছিল না কত রান নিরাপদ। আমরা তাই উইকেট রেখে ভাবছিলাম কত দূর যাওয়া যায়। এটা ভালো পুঁজি ছিল।’
২০২২ সালের পর প্রথমবার হাফসেঞ্চুরি পাওয়া সাকিব নিজের পারফর্মের চেয়ে দলের জয়কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব বলেন, ‘নিজেরটা নিয়ে আসলে কখনো চিন্তিত ছিলাম না ক্যারিয়ারে। দলের জন্য যদি অবদান রাখতে পারি তাহলে এটা ভালো লাগে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি আজ অবদান রাখতে পেরেছি। আজকে আমার দিন ছিল, আমি করতে পেরেছি। সামনে হয়তো অন্য কারও দিন আসবে। এভাবেই আসলে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ যায়। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আসলে বড় রানের চিন্তা কেউ করে বলে আমার কাছে মনে হয় না। মূল ব্যাপার হলো ম্যাচ জয়।’