প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, পারস্পারিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা
নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর।
শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় নয়া দিল্লির তাজ হোটেলে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লি পৌঁছান শেখ হাসিনা। দেশটির নতুন সরকার গঠনের পর এটিই কোনো বিদেশি প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় সফর।
সফরের প্রথম দিনই সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জয়শঙ্কর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আর এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷
সূচি অনুযায়ী, শনিবার (২২ জুন) দুই প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের বৈঠকে নির্ধারণ হতে পারে ২০২২ সালের চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বাস্তবতা এবং আগামী ৫ বছরের রূপরেখা। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে সফরে চুক্তি স্বাক্ষর না হলেও, এ বিষয়ে নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান জানাতে পারে ভারত। আসতে পারে বড় ধরনের বিনিয়োগের খবরও।
তবে সরকারি পর্যায়ে ঠিক কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হবে তা এখনও পরিষ্কার করেননি সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা। যদিও দুই রাষ্ট্র প্রধানের এবারের বৈঠক আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরত্ব পাচ্ছে।
হাসিনা-মোদির বৈঠকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভারসাম্যহীন বাণিজ্যিক সম্পর্কে কিছুটা স্থিতিশীলতার কৌশল বের হতে পারে। এ ক্ষেত্রে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট শতভাগ কার্যকরের সিদ্ধান্তও আসতে পারে।
সংশ্লিষ্টদের আশা, প্রতিবেশী দুই দেশ ভবিষ্যতে নিজেদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে হাতে নেবে বেশ কিছু পদক্ষেপ। এতে সমানভাবে লাভবান হবে দুদেশের মানুষ।
সফরের শেষ দিন (শনিবার) বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যা ৬টায় শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে নয়াদিল্লি ত্যাগ করবেন। রাত ৯টায় তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।