সড়ক সংস্কারের নামে চেয়ারম্যানের নির্দেশে কেটে ফেলা হলো বান্ধব তাল গাছ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সড়ক সংস্কারের নামে কেটে ফেলা হয়েছে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ টি পরিবেশ বান্ধব তালগাছ সহ খেজুর গাছ । উপজেলার চাকামাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মজিবর রহমান ফকিরের নির্দেশে ওই ইউনিয়নের মৌলভীতবক গ্রামের সড়কের পাশে থাকা গাছগুলো কেটে ফেলা হয়।
জানা যায়, কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ওই গ্রামের ২ কিলোমিটার সড়কে মাটি ফেলার কাজ করেন চেয়ারম্যান মজিবর। এর আগে তার নির্দেশে সরকারী সড়কের উপর থেকে তাল গাছ গুলো নির্বিচারে কেটে ফেলা হয়। এছাড়া সড়কে মাটি ফেলার সময় ভেকু দিয়ে অনেক গাছ অপসারন করে খালে ফেলে দেয়া হয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী ও বজ্রপাত প্রতিরোধক এসব গাছ না কেটেও সড়কে মাটি ফেলার কাজ করা যেতো বলে দাবি স্থানীয়দের।
চাকামইয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো: হুমায়ুন কবির কেরামত জানান, তালগাছ বজ্রপাত রক্ষায় সরকার লাগায়, আর চেয়ারম্যান রক্ষক হয়ে সড়ক সংস্কারের নামে তালগাছ সহ আরও বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৬০ টির মতো গাছ কেটে ফেলে। এতে পরিবেশের ভারসম্য নষ্ট হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মজিবর রহমান ফকির বলেন, আমার প্রতিপক্ষরা আমার বিরুদ্ধে তালগাছ কাটা নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কিংবা আমার পরিষদ তাল গাছ কাটা সম্পর্কে কিছুই জানি না।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটি করে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফজলু গাজী ও ইউপি সদস্য সোবাহান মিয়া সড়ক সংস্কারের নামে অগনিত তাল গাছ কাটেন। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর উচ্চ আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে এ নিয়ে রুল জারি করেন। একই সাথে জেলা প্রশাসক, ইউএনও কে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। এবং রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করতে স্থানীয় সরকার পরিষদ বিভাগকে নির্দেশ দেয় আদালত।