সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শেয়ার করুন

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছেন। আমরা সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছে। সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনও সংস্কার করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য যে ভয়ানক নেশা সেটা বোঝানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে।

রোববার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণ এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজীর আহমদ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মশিউর রহমান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের ভুল পথে নেওয়ার লোকের অভাব নেই। সেই ধরনের ঘটনা ঘটছে। কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উসকানিদাতার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কারা উসকানি দিয়েছে এবং কারা দায়ী সবগুলো বিষয় তদন্তের পর বলা যাবে। যেহেতু একটি ঘটনা ঘটেছে সেটি তদন্ত হবে। তদন্তের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব। তদন্তের আগে আমি কিছু বলতে পারছি না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা করতে পারে। মামলা তদন্তের পর যদি ম্যারিট না থাকে তবে অটোমেটিক বাতিল হয়ে যেতে পারে। সেখানে ২৪ ঘণ্টা কিংবা ২৪ দিনের কোনো প্রশ্ন আসে না। আর যদি মামলার ম্যারিট থাকে তাহলে তদন্ত শেষে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আজও শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমেছেন। তারা কেন কথা শুনছেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা (শিক্ষার্থীরা) যা করছে মনে হয় না বুঝে করছে। সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আগামী ৮ আগস্ট শুনানি হবে। শুনানিতে তাদেরও (শিক্ষার্থীদের) অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। তারা সেগুলো না করে রাস্তা অবরোধ করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এগুলো সবকিছু এখন বিচার বিভাগের কাছে। সরকারের হাতে কিছু নেই।

অনুষ্ঠানে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে মাদকাসক্তি নিরাময় ও মাদকবিরোধী কর্মকা-ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় দেশ সেরার পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্র ‘ওয়েসিস’।

অনুষ্ঠানে ওয়েসিস ছাড়াও বারাকা বাংলাদেশ মাদকাসক্তি চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রমিসেস মেডিকেল লিমিটেড মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, বিওয়াইএফসি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, সেফ হোম মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র, হেল্প মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, আসক্ত পুনর্বাসন সংস্থা (আপস) এবং মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা মানসকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হলো ‘মাদকের আগ্রাসন দৃশ্যমান, প্রতিরোধেই এর সমাধান।’
আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খানের কাছ থেকে দেশ সেরা মাদক নিরাময় কেন্দ্রের পুরস্কার গ্রহণ করেন ওয়েসিসের চেয়ারম্যান ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।


শেয়ার করুন

Similar Posts