সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনায় দুই শতাধিক মামলা, গ্রেপ্তার ২২০৯
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে সংঘাত সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা মহানগরীতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দুই শতাধিক মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২২০৯ জনকে। ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কেএন রায় নিয়তি জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় এখন পর্যন্ত ২০১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় ২২০৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
তিনি বলেন, সহিংসতা নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দা তথ্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ৭৩ মামলায় ১৭৫৮ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর বৃহস্পতিবার ১২৮ মামলায় ৪৫১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
এদিকে ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সকলেই কোনো না কোনোভাবে বিটিভি ভবনে হামলায়, সেতু ভবনে হামলা, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল স্টেশন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত। তাদের প্রত্যেকেরই কন্ট্রিবিউশন ছিল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে উন্নয়ন করেছেন দেশে, সেই উন্নয়নের যাত্রাকে ব্যাহত করার জন্য, যেখান থেকে উন্নয়নের কার্যক্রমগুলো পরিচালনা হচ্ছে, সেগুলোকে বেছে বেছে সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। সমস্ত নথিপত্র তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনার জন্য ডিএমপি কাজ করছে। আমরা আরও পরিকল্পনা করছি যেন এই ধরনের সন্ত্রাসীরা ঢাকা না ছাড়তে পারে। ঢাকার ভেতরে যারাই থাকুক না কেন, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
ঢাকায় নিরাপত্তার কোনো হুমকি আছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, গত দুই-তিন দিন ধরে সন্ত্রাসীরা গা-ঢাকা দিয়ে আছে। কিন্তু আমাদের ব্লকড রেইড থেমে নেই। চলমান রয়েছে। ব্লকড রেইড ছাড়াও ঢাকায় দিন-রাতে পুলিশের অপারেশন চলমান রয়েছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, ঢাকার থানায় থানায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সংঘাতে জড়িতদের তালিকা করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্পটের ভিডিও ফুটেজ দেখে অপরাধী শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সহিংসতায় জড়িতদের যারা ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে তাদের মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে আটক করা হচ্ছে। ফোন পরীক্ষা করে সন্দেহজনক তথ্য পেলেই আটক করছে পুলিশ।