নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অন্যান্য নিহতদের স্মরণে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।আগামীকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতায় নিহতদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বিকালে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, আজকের বৈঠকে কোটা আন্দোলন নিয়ে যে পরিস্থিতি হয়েছিল, সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। পরে এ নিয়ে আলোচনা হয়। সেই আলোচনার ভিত্তিতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় এবং আগামীকাল দেশব্যাপী শোক পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
এদিন কালো ব্যাজ ধারণ এবং মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া মন্দির-গির্জা-প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
মো. মাহবুব হোসেন জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার এ ঘটনায় ১৪৭ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিলেন। তারপর আরও তিনজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। অর্থাৎ এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা এখন ১৫০।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত কয়েকদিনে সারা দেশে সহিংসতার সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল, স্বজন ও মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তিদের সূত্রে সংঘর্ষ-সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বয়স, পেশা, আঘাতের ধরন এবং কোন এলাকায় আহত অথবা নিহত হয়েছিলেন, তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে ১৫০ জনের। এর মধ্যে ১১৩ জন শিশু, কিশোর ও তরুণ।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান রোববার জানিয়েছেন, এ সহিংসতায় শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১৪৭ জন মারা গেছে বলে আমাদের হিসাবে রয়েছে। এখানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ রয়েছে, বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ের মানুষ রয়েছেন। বিভিন্ন হাসপাতাল, বিভিন্ন জেলা থেকে নিহতের এ সংখ্যা পাওয়া গেছে বলেও জানান মন্ত্রী।