দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান বিএনপি মহাসচিবের

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
শেয়ার করুন

দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেছেন, আপনারা সবাই শান্ত খাকুন, ধৈর্য ধারণ করুন। কেউ কারো জানমাল বা কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির করবেন না।

সোমবার সেনা দপ্তরের বৈঠক শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান যুগান্তরকে বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন- সুন্দর বৈঠক হয়েছে।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকার পতনের ১ দফা দাবিতে পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

রাজনৈতিক দলের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে তিনি উড্ডয়ন করেন। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা সঙ্গে ছিলেন। তারা হেলিকপ্টারে ভারতে গেছেন।

শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। শেখ হাসিনা যাওয়ার আগে একটি ভাষণ রেকর্ড করে যেতে চেয়েছিলেন। তিনি সে সুযোগ পাননি।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নিহত ছাত্র-জনতার প্রতিবাদে গোটা দেশ যখন উত্তাল, ঠিক সে সময় এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে সরকার। ১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ঘটনার ৪ দিন না যেতেই এবার জামায়াত আমির জায়গা করে নিলেন অন্তবর্তী সরকার গঠনে নিয়ে সেনাপ্রধানের বৈঠকে।

বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়েছেন সেনাপ্রধান। কোন কোন রাজনৈতিক দল সঙ্গে বৈঠক করেছেন-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ঢাবি শিক্ষক আফিস নজরুল ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিও বৈঠকে ছিলেন।

ভাষণে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, এখন রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল চলছে। একটি অন্তবর্তী সরকার গঠন করা হবে। সব হত্যার বিচার হবে। সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা রাখেন। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।

জনগণের উদ্দেশে সেনাপ্রধানের আহ্বান, দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখেন। আপনারা আমার ওপর আস্থা রাখেন, একসাথে কাজ করি। দয়া করে সাহায্য করেন। মারামারি সংঘাত করে আর কিছু পাব না। সংঘাত থেকে বিরত হোন। সবাই মিলে সুন্দর দেশ গড়ি।

এ সময় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতাকে ঘরে ফেরার আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশজুড়ে ছাত্র-জনতার গণবিস্ফোরণে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে শেখ হাসিনা উড্ডয়ন করেন। এ সময় তার ছোট বোন শেখ রেহানা সঙ্গে ছিলেন।


শেয়ার করুন

Similar Posts