মুক্তি পেলেন বিগ্রেডিয়ার আযমী
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) ‘আয়না ঘরের’ বন্দিশালা থেকে অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আযমের ছেলে সাবেক সেনা কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী। ২০১৬ সালের আগস্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে আযমীকে আটক করে তুলে নেওয়ার অভিযোগ তুলে তার পরিবার।
সে সময় পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করে সরকার। এবার ৮ বছর পর অক্ষত অবস্থায় আযমীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে ডিজিএফআই। মঙ্গলবার সকালে আযমীর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার বিকেলে ছাত্র-জনতার গণবিস্ফোরণে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপরই গুম হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলে স্বজনরা।
গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে মানবাধিকার সংগঠন এবং কয়েকটি গণমাধ্যম দাবি করে আসছে, ডিজিএফআইয়ের ‘আয়না ঘরে’ বিরোধীমতের অনেক মানুষকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
গণবিস্ফোরণের মুখে হাসিনা সরকার পতনের পর সোমবার রাতে ২০-২৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনরা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেত এলাকায় অবস্থান নেন। অতিদ্রুত পরিবারের কাছে অক্ষত অবস্থায় হস্তান্তরের দাবি করেন তারা।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে মুক্ত করে দেওয়া হয় তাদের। যাদের মধ্যে ছিলেন আবদুল্লাহিল আমান আযমী। আযমী সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়ার সময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে কর্মরত ছিলেন।
আযমীর পাশাপাশি ‘আয়না ঘর’ থেকে মুক্তি মিলেছে আরেক জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমান।