যে কোনো অরাজক পরিস্থিতি বন্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
যে কোনো অরাজক পরিস্থিতি ও লুটতরাজ বন্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। একই সঙ্গে চেইন অব কমান্ড বজায় রেখে পুলিশের প্রতিটি সদস্য যাতে উন্নত মনোবল ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশও দেন তিনি।
বুধবার দুপুরে পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি তাকে এ নির্দেশ দেন।
এ সময় নতুন আইজিপিকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিরাজমান পরিস্থিতিতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পুলিশকেই এ কাজটি করতে হবে।
সেই সঙ্গে যে কোনো অরাজক পরিস্থিতি ও লুটতরাজ বন্ধে পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের চুক্তি বাতিল করে নতুন আইজিপি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পৃথক এক প্রজ্ঞাপনে আইজিপি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় চৌধুরী আব্দুল্লাহ মামুনকে। এছাড়া সিআইডির উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. মাইনুল হাসানকে ডিএমপি কমিশনার (চলতি দায়িত্ব), র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো.হারুন-অর-রশিদকে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে পুলিশ সদর দপ্তরে, ডিএমপি কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমানকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।