গাজীপুরে পোশাক কারখানার নিরাপত্তায় সমন্বিত টাস্কফোর্স
গাজীপুরে প্রায় শতভাগ কারখানায় চলছে উৎপাদন কার্যক্রম। সকাল থেকে স্বাভাবিক ভাবেই চলছে সবগুলো কারখানা। কারখানা নিরাপত্তায় কাজ করছে সেনাবাহিনীর সমন্বিত টাস্কফোর্স। কারখানা মালিক ও বিজিএমইএ নেতা বলছেন, কারখানা নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে পোশাক খাতকে এক নম্বর অবস্থানে এগিয়ে নিতে চান তারা।
শিল্প অধ্যূষিত গাজীপুরে তৈরি পোশাক সহ বিভিন্ন কারখানায় চলছে উৎপাদন, বিভিন্ন ইউনিটে কাজ করছেন শ্রমিকরা। কারফিউসহ নানা আন্দোলন সংগ্রামের কারণে কয়েকদিন কারখানায় উৎপাদন বিঘ্নিত হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে পোশাক শিল্প। শুরুতে মালিকরা নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় নিরাপত্তা বিধান করে কারখানা চালু করেন। তবে সার্বিক নিরাপত্তায় শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনীর সমন্বিত টাস্কফোর্স।
সেনাবাহিনীর কর্ণেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত টাস্কফোর্স গাজীপুরের তিন সড়ক এলাকার স্প্যারো গার্মেন্টস সহ আশপাশের বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করেন। মহাসড়ক ধরে শিল্প এলাকায় নিরাপত্তায় কাজ করছেন তারা। কারখানা পরিদর্শনের সময় অন্যদের মধ্যে স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম, বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির অতিরিক্ত সচিব মনসুর খালেদ, শিল্পোদ্যোক্তা তামান্না ফারুক, স্প্যারো অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার সিইও শরিফুল রেজা প্রমুখ উপস্থিতউপস্থিত ছিলেন।
স্প্যারো অ্যাপারেলস কারখানা ও বিজিএমইএ পরিচালক শোভন ইসলাম বলছেন, গাজীপুরসহ অন্যান্য শিল্প এলাকায় শতভাগ কারখানা চালু করা হয়েছে। এতে শ্রমিকদের উপস্থিতি প্রায় শতভাগ। শিল্প-কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্স সেল গঠন করা হয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস এর নেতৃত্বে পোশাক রপ্তানিকে আমরা এক নম্বরে রাখতে চাই।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন ফারুকের মেয়ে বিডি কালেকশন এর মালিক তামান্না ফারুক বলেন, বিগত সময়ে পোশাক মালিকরা অনেক কিছু বলতে পারেনি। মালিক ও শ্রমিক ভাইয়েররা দেশের জন্য কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করব। আপনাদের ও নতুন সরকারের সহায়তায় আমাদের পোশাক রপ্তানিকে এক নম্বরে নিয়ে যাব।
শিল্প পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, গাজীপুরে ২ হাজারের বেশি তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে। এতে কাজ করছে অন্তত ২২ লাখ শ্রমিক।