ফেনীতে ভয়াবহ বন্যা, ২ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি
ফেনীতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়ায় ২ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, ভারী বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা ঢলে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে গেছে এ তিন উপজেলার ৯০টি গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই লক্ষাধিক মানুষ।
বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় মাসের ব্যবধানে তৃতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।
এ ব্যাপারে পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, উপজেলার চিথলিয়া, সলিয়া ও অলকা এলাকায় অনেক মানুষ আটকা পড়েছে। রাত থেকে ফায়ার সার্ভিস ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্ধার কাজ চলছে। কিন্তু নৌকার সংকট। পানির স্রোতের জন্য ঠিকভাবে কাজ করা যাচ্ছে না। এ মুহূর্তে স্পিডবোটের প্রয়োজন। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ফেনীতে টানা তিন দিন মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। জেলায় আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফেনীর ৪-বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বিজিবি নৌকা ও ট্রলারের মাধ্যমে পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি উদ্ধার করা জনসাধারণের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও জরুরি শুকনো খাবারও বিতরণ করছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (অ. দা.) মো. আবুল কাশেম বলেন, মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এত পানি আগে কখনো দেখা যায়নি।