কলাপাড়ায় আইনজীবীদের হট্রগোলে এজলাস ছাড়লেন বিচারক
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের নামে যুবদল নেতার দায়েরকৃত পেনাল কোড ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিন আবেদন মঞ্জুর করায় জামিন বিরোধীতাকারী বিএনপি’র আইনজীবীদের হট্রগোলে এজলাস থেকে নেমে গেলেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের এজলাসে এ ঘটনা ঘটে। আদালতের সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. মহিবুর রহমান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে কলাপাড়া চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালতে যুবদল নেতার দায়েরকৃত মামলায় জামিন পেতে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন করেন আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী। আদালত আসামী পক্ষ ও রাষ্ট্র পক্ষের শুনানী শেষে আসামীদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের সাথে শুনানীতে অংশ নেয়া বিএনপি’র আইনজীবীদের হট্রগোলে এজলাস থেকে নেমে যান বিচারক। এতে পুলিশ ফাইলের অনেক মামলার কার্যক্রম সহ জিআর মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি ও কলাপাড়া চৌকি আদালত আইনজীবী কল্যান সমিতির সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান চুন্নু বলেন, ’মামলাটি বিস্ফোরক আইনের হলেও আদালতে আজ যারা আত্মসমর্পন করেছে তাদের উপর বিষ্ফোরক আইনের অভিযোগ না থাকায় আদালত সন্তুষ্ট হয়ে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। এতে বিএনপি’র আইনজীবী বন্ধুরা হট্রগোল শুরু করায় আদালত নেমে যান।’
চৌকি আদালতে প্রাকটিসরত আইনজীবী ও উপজেলা বিএনপি’র আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার শাহাব উদ্দিন বলেন,’ বিস্ফোরক আইনের মামলায় এই আদালত জামিন দিতে পারেন না। দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এরপরও আগের মত কতিপয় আওয়ামী আইনজীবীর সাথে আদালতের হট কানেকশনে এ মামলায় তিনি জামিন দিয়েছেন। এতে আমরা আদালত বর্জন করেছি।’
উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন বলেন,’ আমরা আমাদের কোন নেতা-কর্মীদের বিস্ফোরক আইনের মামলায় এ আদালত থেকে জামিন করাতে পারিনি। উচ্চ আদালত থেকে এক-দেড় মাস হাজত বাসের পর শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়েছি।’ একই অভিযোগ মহিপুর থানা বিএনপি’র সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহজাহান পারভেজ এর।