ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র হানা উপকূলে, বরগুনায় নিহত-১
ভারতের ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র অগ্রভাগ আঘাত হেনেছে। বর্তমানে এর কেন্দ্রে গতি উঠে যাচ্ছে ১২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। এটি আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে বাংলাদেশের পাঁচ বিভাগে বিক্ষিপ্তভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) ভোর ৫টা ৩০ মিনিট পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, স্থলভাগে আছড়ে পড়তে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। প্রবল আকারে ‘ল্যান্ডফল’ হচ্ছে। আরও এক থেকে দুইঘণ্টা চলবে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশ। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতি রয়েছে ১২০ কিলোমিটার।
এর আগে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, দানার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে বিপুল জলোচ্ছ্বাস দেখা যাবে। ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে ৯ ফুট থেকে ১৪ ফুট পর্যন্ত। সেই অনুযায়ী উপকূলের বাসিন্দাদের আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। চার জেলায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে উপকূলের লাখো মানুষকে।
এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা থেকে রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে ।
এছাড়া বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে গাছচাপা পড়ে আশরাফ আলী নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে দেউলি গ্রামে প্রবল বাতাসে ৭টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
এদিকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে জোয়ারের পানির তোড়ে নৌবাহিনীর জেটি ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। জেটি ভেঙে যাওয়ায় চলতি পর্যটন মৌসুমের শুরুতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে বিপত্তি ঘটবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।