গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা হাবিব চেয়ারম্যান গ্রেফতার
গাজীপুর সদর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খান হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এক সময় এলাকায় তিনি সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর- ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির ডান হাত বলে পরিচিত ছিলেন। শনিবার দুপুরে তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আদালতে পাঠানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে তার ব্যাপক ভূমিকা ছিল। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। আওয়ামী লীগ আমলে চেয়ারম্যান থাকা কালে হাবিবুর রহমান হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থানীয় কতিপয় পরিবারের সদস্যের উপর অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে নানা ধরনের হয়রানি করেছেন। এছাড়াও দাপুটে এই চেয়ারম্যান
নানা শ্রেণী পেশার লোকজনের ওপর অবৈধ প্রভাব খাটিয়েছেন। বিগত সংসদ নির্বাচনের আগের টার্মের পুরো সময়ে গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত ছিলেন তিনি। তবে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে তাদের সম্পর্কের অবনতি হলে দ্বিতীয় মেয়াদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হন তিনি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন করেন তিনি। এজন্য দল থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়। যদিও পরে দলীয় পদ ফিরে না পেলেও আবার দলে ঠাঁই পান তিনি।
নানা কারণে সম্পর্কের দূরত্ব সৃষ্টি হলে হাবিবুর রহমান বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহের আফরোজ চুমকিকে ছেড়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারউজ্জামানের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন। চেয়ারম্যান হাবিবকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জয়দেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হালিম গণমাধ্যমকে জানান, নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সরকার পতনের পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তবে আত্মগোপনে থেকেই চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনও করছিলেন।
শনিবার সকালে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।