তালতলীতে রাতের আঁধারে কেটে নিয়েছে কৃষকের পাকা ধান

শেয়ার করুন

বরগুনার তালতলী উপজেলার নিন্দ্রা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তির পাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

জানাগেছে, উপজেলার ৭ নং সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রা এলাকায় মোস্তফা ফরাজীর সঙ্গে সিদ্দিকুর রহমানের ৩৩ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হয় কিন্তু মোস্তফা ফরাজী বৈঠকের সিধান্ত মানেনি। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের আধারে মোস্তফা ফারাজী, মনির,মামুন,শাকিল,নাঈম,শাহিদা বেগম, কুলসুম ও তাদের সহযোগীরা পাকা ধান কেটে নিয়েছে এমন অভিযোগ সিদ্দিকুর রহমানের।
স্থানীয়রা জাকিরসহ বেশ কয়েকজন বলেন জমির মালিক সিদ্দিকুর রহমানের সাথে তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ চলছে। ওই বিরোধের জের ধরে রাতের আধারে জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানদের কাছে একাধিকবার এ বিষয়ে অভিযোগ করলে তিনি উভয়পক্ষকে বলেন যে জমি চাষাবাদ করছে তিনি ধান কেটে নিবে কিন্তু চেয়ারম্যানদের আদেশ উপেক্ষা করে রাতের আধারে মোস্তফা ফারাজী, মনির,মামুন,শাকিল,নাঈম,শাহিদা বেগম, কুলসুম ও তাদের সহযোগীরা পাকা ধান কেটে নিয়েছে।

অভিযুক্ত মোস্তফা ফারাজি ধান কেটে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তির ধান আমি কেটে নিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরে এই জমি আমি ভোগ-দখলে আছি। এটা নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গতকাল স্থানীয় চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে ডাকলে কোন প্রতিকার না পেয়ে আমি আমার জমির ধান কেটে নিয়েছি। সোনাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস ফরাজী বলেন,এই জমি নিয়ে অনেক দিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলে আসছে। বিভিন্ন সময় আমি এই জমি নিয়ে সালিশি করেছি।গতকাল সন্ধ্যায় দুই পক্ষ নিয়ে সালিশি সীমাংসের জন্য বসলে মোস্তফা কে কোনো ভাবেই মানানো যায়নি।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইমরান আলম বলেন,এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা করা হবে।


শেয়ার করুন

Similar Posts