আমতলীতে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে রাতের আধারে ধান কেটে নেয়ার অভিযোগ
রাতের আধারে জোরপুর্বক দখলীয় জমির পাকা ধান ডালিম হাওলাদার ও তার সহযোগীরা কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে আমতলী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন শিক্ষক মোঃ মনিরুজ্জামান বাবুল হাওলাদার। তিনি আরো অভিযোগ করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধার নেতৃত্বে ডালিম হাওলাদার ও তার সহযোগীরা এ ধান কেটে নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক মনিরুজ্জামান বাবুল বলেন, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা মৌজায় পৈত্রিক ও মাতার সম্পত্তি হিসেবে ৪.৮৮ একর জমি রয়েছে। ওই জমি আমি ও আমার তিনভাই ভোগদখল করে আসছি।
গত শুক্রবার রাতে আমার ওই জমির পাকা ধান ডালিম হাওলাদার ও জুয়েল মাতুব্বরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী রাতের আধারে ধান কেটে নেয়। পরের দিন শনিবার সকালে বিষয়টি আমতলী থানার ওসিকে অবহিত করলে তিনি কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি আরো বলেন, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা আমার ভাগ্নে। তারই পরোক্ষ মদদে সন্ত্রাসীরা রাতের আধারে আমার ধান কেটে নিয়েছে। সন্ত্রাসীরা ধান নিয়েই খ্যান্ত হয়নি উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
পুলিশ প্রশাসনকে দ্রুত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার, পাশা মিয়া হাওলাদার ও নাশির উদ্দিন হাওলাদার।
অভিযুক্ত ডালিম হাওলাদার ধান কাটা ও প্রাণ নাশের হুমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, মনিরুজ্জামান বাবুল ও তার লোকজন ধান কেটে নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দায় চাপাচ্ছেন। তিনি যে ধান কেটে নিয়েছেন তার বেশ প্রমাণ আছে।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব তুহিন মৃধা বলেন, ওই জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। কিন্তু এখানে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।