রিজভীর বক্তব্যের নিন্দা জামায়াতের
‘ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায় জামায়াত’- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান রোববার এক বিবৃতিতে বলেছেন, এ বক্তব্য বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে জামায়াতের প্রতি অভিযোগ উত্থাপনের আগে রিজভীর আত্ম-পর্যালোচনা করা উচিত। কারা দলীয় টিম নিয়ে সফর করে ভারতের সাথে সখ্যতা করার চেষ্টা করেছেন, তা জনগণ খুব ভাল করেই জানেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতের রাজনীতি ভারতের আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। এ ভূমিকা জাতি গ্রহণ করেছে। এ কারণেই সম্ভবত রিজভীর গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অপবাদের রাজনীতি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
রিজভী আরও বলেছিলেন, ‘৫ আগস্টের পর একটি রাজনৈতিক দলের আত্মসাৎ দেখেছে জনগণ, কারা পায়ের রগ কাটে তাদের চিনে জনগণ, ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে একাত্তরের বিরোধিতাকারী জামায়াত।’ এ বক্তব্যের প্রতিবাদে রফিকুল ইসলাম বলেছেন, জামায়াত রগকাটা ও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের রাজনীতি কখনো করেনি। জামায়াত ‘ইসলাম’ নিয়েও রাজনীতি করে না।
ছিয়াশি সালে এরশাদের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জামায়াত মোনাফেকি করেছিল বলে অভিযোগ করেন রিজভী। এর জবাবে জামায়াতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত জোটকে এড়িয়ে ভিন্নমতের সঙ্গে জোট করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যে ঐক্য করা হয়েছিল তা কি জাতির সাথে মোনাফেকি নয়?’