পিলাখানা হত্যাকাণ্ডের সব তথ্য প্রকাশ করা হবে : ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘আমাদের যতটুকু সার্মথ্য আছে তা দিয়ে পিলখানা হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব এ ঘটনার সকল তথ্য একত্র করতে হবে। সারা দেশের মানুষ এ হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী। জাতির পক্ষ থেকে আমরা অনুভব করি যে, এ হত্যাকাণ্ডের বিচার আমাদের করতেই হবে।’
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শহীদ সেনা পরিবারের সদস্যরা। এ সময় প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
এত বছরেও এ হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না হওয়ার বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘এত বছর ধরে এ হত্যাকাণ্ডের তথ্য গোপন রাখতে পারাটা অবিশ্বাস্য বিষয়।
আজ আপনাদের কাছ থেকে অনেক বিষয়ে জানতে পারলাম।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপকালে শহীদ পরিবারের সদস্যরা তাদের দুঃখ-দুর্দশা ও পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার কিভাবে তাদের ওপর মানসিক নিপীড়ন ও হয়রানি করেছে সে সবের বর্ণনা দেন।
একইসঙ্গে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও জানান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
তারা জানান, বিচারের দাবি জানাতে গেলে তাদের ওপর অমানুষিক নিপীড়ন করা হয়েছে।
সত্য বলা থেকে বিরত রাখতে তাদের ওপর নানা অত্যাচার চালানো হতো।
শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলেন, ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল রোডে শহীদ সেনা পরিবারকে পুনর্বাসনের যে প্রচারণা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার চালিয়েছে, তা সর্বৈব মিথ্যা। কোনো শহীদ পরিবারকে সেখানে কোনো বাসা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
শহীদ পরিবারের সন্তানদের বিনা বেতনে লেখাপড়াসহ দেওয়া আরো অনেক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি বলেও জানান তারা।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ প্রমুখ।