কুয়েটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের ব্যাপক সংঘর্ষ, ভিসিসহ আহত ৬০

শেয়ার করুন

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া পালটাপালটি ধাওয়া বিকাল পর্যন্ত চলে। এ ঘটনায় অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এর মধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।

এ সংঘর্ষে কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ আহত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে কুয়েট ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে কুয়েটের ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সংগঠনের নতুন সদস্য অর্ন্তভুক্ত করার জন্য ফরম বিতরণ শুরু করেন। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।

এ সময় তারা ‘ছাত্র রাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হলগুলো প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে আসলে ছাত্রদল সমর্থিতদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ক্যাম্পাসের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় ছাত্রদলের সঙ্গে বহিরাগতরা ছিল। পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।

এ ঘটনায় আহত হয়ে খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন-খানজাহান আলী হল প্রাধ্যক্ষ মো. ইলিয়াস, শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রীতম বিশ্বাস, শাফি, নাফিস ফুয়াদ, সৌরভ, তাওহিদুল, নাফিস ফুয়াদ জীম, কবির হোসেন, দেবজ্যোতি, মাহাদি হাসান, নিলয় ও মমতাহিন প্রমুখ।

কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ যুগান্তরকে জানান, বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থি শান্ত। সংঘর্ষের সূত্রপাত কিভাবে হলো নিয়ে এটা নিশ্চিত নই। তদন্তের পর জানা যাবে।

কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ গণমাধ্যমকে জানান, দুগ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের সময় তিনি নিজেই আহত হয়েছেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তিনি।


শেয়ার করুন

Similar Posts