কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রশিবির দায়ী: ছাত্রদল

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে দায়ী করেছে ছাত্রদল। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
তারা অভিযোগ করেন, ছাত্রশিবির গোপনে রাজনীতি করে ক্যাম্পাসগুলোতে মব তৈরি করছে। প্রথমে ছাত্রদল নেতাদের ওপর হামলা করে তাদের ওপরই দায় চাপিয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে গুপ্ত সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সভাপতি বলেন, ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতি সহ্য করতে না পেরে আন্ডারগ্রাউন্ড ছাত্রসংগঠন শিবির নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। ছাত্রশিবির গোপনে রাজনীতি করে ক্যাম্পাসগুলোতে মব তৈরি করছে।
তিনি দাবি করেন, ঘটনার নেপথ্যে বৈষম্যবিরোধীরা। মোহাম্মদ ওমর ফারুকের (কুয়েটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক) নেতৃত্বে প্রথমে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার কারণেই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসীও সংঘর্ষে অংশ নেয়।
তিনি বলেন, আমরা হামলার নিন্দা জানাই এবং যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
ঘটনার তদন্তে ছাত্রদলের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ছাত্রদল সভাপতি অভিযোগ করেন, কুয়েটে বৈষম্যবিরোধীরা কমিটি দিয়ে রাজনীতি করছে, শিবিরেরও সেখানে কমিটি আছে। তাহলে ছাত্রদল কেন কমিটি দিয়ে রাজনীতি করতে পারবে না?
তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, যারা কথায় কথায় ছাত্রদলকে হুমকি দেয় তাদের বলছি, ঠিক একই স্টাইলে ছাত্রলীগও কথা বলতো।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের তিন নেতাকে প্রথমে বৈষম্যবিরোধী এবং শিবিরের লোকজন অমানবিকভাবে পিটিয়েছে। তারপরই এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। বৈষম্যবিরোধীরা এবং শিবিরের লোকজন হামলা না করলে এমন ঘটনা ঘটতো না।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘বৈষম্যবিরোধীরা যদি রাজনৈতিক দল না হয়ে থাকে তবে হাসনাত এবং নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী কোন অধিকারে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন?’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে আহত হন অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী। আহতদের কুয়েটের মেডিকেল সেন্টারসহ আশপাশের বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।