রমজানের শুরুতে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা

পবিত্র রমজান মাসের শুরুতে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের লীলাভূমি খ্যাত পটুয়াখালীর সাগর কন্যা কুয়াকাটা পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে। এতে বেকার দিন কাটাচ্ছে কুয়াকাটার প্রায় ১৬টি পেশার কয়েক হাজার মানুষ।
শুক্রবার (৭ মার্চ) সৈকতের সবগুলো পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় রমজানের শুরুর দিন থেকেই পর্যটক শূন্য রয়েছে এই সৈকত। গত শুক্রবারও যে সৈকতে টইটম্বুর ছিল পর্যটকে, সেখানে এখন পর্যটকে হাহাকার। পর্যটক না থাকায় সৈকতে থাকা ছাতা, বেঞ্চ গুছিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ঝিনুক ব্যবসায়ীরা ও তাঁদের স্টলগুলো বন্ধ রেখেছেন পর্যটক না থাকায়। তবে কিছু দোকানিরা সকালে দোকান খুলে বসলেও বিকেলেই তাও বন্ধ করেছেন ক্রেতা সংকটে।
শুধু শুঁটকি, ছাতা, বেঞ্চ বা ঝিনুক ব্যবসায়ীরাই নয় পর্যটন কেন্দ্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হোটেল ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না একটি রুম বুকিং দেয়ার মত পর্যটক। তবে তাদের আশা রমজানের প্রথম দিকে পর্যটক না পেলেও শেষের দিকে কিছু পর্যটক পেতে পারেন তারা।
কুয়াকাটা সৈকতের ফটোগ্রাফার মিলন জানান, রমজান শুরুর দিন থেকেই পর্যটক শূন্য সৈকত। মার্চ মাসে সাধারণ আমরা ভরপুর পর্যটক পেয়ে থাকি। তবে রমজান শুরু হওয়ায় সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছ। আমরা ক্যামেরা নিয়ে সৈকতে নামি কিন্তু কোনো লোক নাই, সরাদিনে একশো টাকাও ইনকাম নেই।
সৈকতের আচার দোকানি নাসির উদ্দিন জানান, রমজানের শুরুটা পর্যটক শূন্য হলেও ১০ রমজানের পরে পর্যটকের আমগন ঘটবে, এমনটা মনে হচ্ছে। বর্তমানে পর্যটক নেই, তাই অনেক দোকান বন্ধ রয়েছে।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, রমজান মাসের প্রথম দিকে পর্যটক তুলনামূলক অনেকটাই কম থাকে। এটি প্রতি বছরই, বর্তমানেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। তবে আমরা ১০-১৫ রমজানে কিছু বুকিং পেয়েছি। সাথে সাথে ঈদের ছুটিতে ভালো একটা বুকিং পাওয়ার আশা করছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ পরিদর্শক কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটক নেই, কিন্তু আমাদের টহল টিম এখনও সৈকতে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় রয়েছে।