‘পতিত আওয়ামী লীগ সরকার জমি অধিগ্রহণে বাস্তুভিটা হারানো পরিবারের জন্য কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেয়নি’

শেয়ার করুন

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘পতিত আওয়ামী লীগ সরকার পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, শের ই বাংলা নৌঘাঁটি ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের উন্নয়ন কাজে জমি অধিগ্রহণে বাস্তুভিটা হারানো পরিবারের সদস্যদের জন্য কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেনি। এখানে একটি অর্থনৈতিক জোন হতে পারতো, যেখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারতো। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগই নেয়নি।’ -এবিএম মোশাররফ মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী সিকদার পরিবারের ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আলিফ শিকদার ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক মেয়র হাজী মো. হুমায়ুন শিকদারের সভাপতিত্বে এবিএম মোশাররফ আরও বলেন, ‘আমরা অনেকেই আমাদের দাদার বাবা এবং তার বাবার নাম জানি না। কিন্তু আজকে এখানে দেখলাম তারা চমৎকারভাবে বংশ পরম্পরায় তাদের পূর্ব পুরুষদের নাম সংযোজন করেছেন। আজ এখানে সিকদার বংশের অন্তত: ৬ হাজার লোক সমবেত হয়েছেন। তাদের বংশের এ একতা একটি বিশাল শক্তি।’

এবিএম মোশাররফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সৌদি আরব সহ বিভিন্ন দেশের সাথে সরকারের আলোচনা চলছে, যাতে এখানে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা যায়। এবং এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হলে বাস্তুভিটা হারানো পরিবারের হাজার হাজার সদস্যরা কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।’

ঢাকার অগ্রণী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন সিকদার ও কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. রেজাউল ইসলাম কেনান শিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আহসান হাবিব মিলন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মকবুল আহমেদ (অব:), বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মো. নাসির উদ্দিন, কলাপাড়া চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি নুরুল হক মুন্সি, পৌর বিএনপি’র সভাপতি গাজী মো. ফারুক সহ শিকদার পরিবারের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সভাপতির বক্তব্যে হাজী হুমায়ুন শিকদার বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ মুক্ত কলাপাড়া বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা চাই। আপনারা আমাদের ভালো কাজে সহযোগিতা করুন।’

এর আগে আলিফ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী উৎসবে প্রকাশিত ‘বন্ধন’ নামের একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। পরে দোয়া মোনাজাত শেষে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেয় সিকদার পরিবারের সদস্যসহ ৬ হাজারের অধিক আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। দল মত নির্বিশেষে হাজার হাজার আত্মীয়স্বজনের অংশগ্রহণে ঈদ পুনর্মিলনী
উৎসব হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।


শেয়ার করুন

Similar Posts