বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল, ভারতের ব্যাখা

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল
শেয়ার করুন

ভারতের বন্দর ব্যবহার করে অন্য দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে দেয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে ভারত। কয়েক বছর ধরে চলমান এ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কারণ জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন জয়সওয়াল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ট্রিবিউন বলছে, রফতানির ক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ব্যাখ্যায় সংবাদ সম্মেলনের পাশাপাশি একটি বিবৃতিও দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেয়ার কারণে ভারতের বিমানবন্দর ও অন্য বন্দরগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক জট দেখা যাচ্ছে। লজিস্টিক সহায়তা পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে এবং ব্যয়ও বেড়ে গেছে। ফলে দেশের অর্থনীতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং বন্দরে অনেক পণ্য দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকছে। যার কারণে ৮ এপ্রিল, ২০২৫ থেকে এই সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় এবং ব্যাংককে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে যেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তার অগ্রগতি জরুরি বলেও জানান রণধীর জয়সওয়াল।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই। আমরা ব্যাংককে আলোচনায় যেসব বিষয় তুলে ধরেছিলাম, সেগুলোও আমরা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছি। আমাদের বিশ্বাস, এসব বিষয়ে অগ্রগতি জরুরি।

এর আগে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে নোটিশ জারি করে ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস। ফলে এখন থেকে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য রফতানি করতে পারবে না বাংলাদেশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ভারতীয় স্থল শুল্ক স্টেশন ব্যবহার করে বন্দর এবং বিমানবন্দর দিয়ে তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য এই সুবিধা পেত বাংলাদেশ। ২০২০ সালের জুনে বাংলাদেশকে পণ্য রফতানির এই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিয়েছিল ভারত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশি পণ্যবাহী কন্টেইনার ও ট্রাকও অন্য দেশে যেতে দেয়া হবে না। মোদি প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,
স্পষ্ট করে বলতে গেলে, এই পদক্ষেপ ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশের রফতানির ওপর প্রভাব ফেলবে না।


শেয়ার করুন

Similar Posts