নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কথাই চূড়ান্ত: আসিফ নজরুল

শেয়ার করুন

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে ভালো হয় বলে জানিয়েছে। তারা বলেছেন, আমাদের উপদেষ্টাদের অস্পষ্ট কথা থাকে। এ বিষয়ে বলতে চাই, উপদেষ্টারা যে যা-ই বলুক না কেন, প্রধান উপদেষ্টার কথাই চূড়ান্ত।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এ বিফ্রিং করা হয়।

এর আগে, বৈঠক শেষে নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সুনির্দিষ্ট কোন সময় দেয়নি জানিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় সুনির্দিষ্ট কোন ডেটলাইন আমাদের দেননি। তিনি বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে তিনি নির্বাচন শেষ করতে চান। আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা বলেছি ডিসেম্বরের মধ্যে যদি নির্বাচন না হয় তবে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ হবে, বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপি মহাসচিবের এটা বলার অবশ্যই অধিকার আছে। আমার কাছে ওনাদেরকে দেখে হ্যাপি লেগেছে যখন আমাদের ডায়লগটা শেষ হয়েছে। মনে হয়েছে ওনাদের মনে যে প্রশ্ন ছিল সেগুলোর উত্তর তারা পেয়েছেন। আমার কাছে তা মনে হয়েছে, ফখরুল ভাইয়ের কাছে অন্যরকম মনে হতে পারে।

নির্বাচনের সময় সম্পর্কে বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুন মানে আমরা ইচ্ছা করে দেরি করে- মে বা জুন মাসে করবো সেটা না। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে এর মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা করবো। অকারণে আমরা এক মাস দুই মাস থাকবো বিষয়টা সেটা না। ক্ষমতায় থাকার জন্য দেরি করা হবে না।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন– এটা প্রধান উপদেষ্টার অঙ্গীকার।

আসিফ নজরুল বলেন, ঐকমত্য কমিশনের যেসব প্রস্তাব আছে, সেসব বিষয়ে বিএনপি অত্যন্ত পজিটিভ। তারা বলেছে দু-তিন দিনের মধ্যে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বসবে। অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে তারা ঐকমত্য পোষণ করে। জুলাই চার্টার খুব দ্রুত প্রণীত হয়ে যাবে।

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে আইন উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের দুই মাস আগে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।

ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার প্রলম্বিত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনার বিচারে কোনো বিলম্ব হচ্ছে না। ভয়াবহ অপরাধ ঘটেছে, তার তদন্ত কার্যক্রম চলছে। প্রসিকিউশনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছে সরকার।

তিনি বলেন, জনগণের একটা আকাঙ্ক্ষা আছে যেন আমরা বিচার করে যাই। হাজারের বেশি মানুষ জীবন দিয়েছে। আমরা যদি কোন বিচার না করি তাহলে মানুষ কেন, নিজেদের কাছে জবাব দেবো কীভাবে!


শেয়ার করুন

Similar Posts