‘ ক্রিকেটারদের অপদস্থ করা হয়েছে’

সকাল থেকেই হোম অফ ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের আনাগোনা। এমনিতেও তারা আসেন, তবে সেটা অনুশীলন করতে। কিন্তু এদিন দেখা গেলো একে একে তামিম ইকবাল, নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, সাব্বির রহমানরা মাঠে এসেই চলে গেলেন বিসিবি একাডেমি ভবনে। এরপর দুপুর গড়াতেই বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে শুরু হয় তাদের বৈঠক। প্রায় ৪ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক শেষে সন্ধ্যার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম ইকবাল দাবি করেন, গত ২-৩ মাসে বেশ কয়েকটি ঘটনায় বিসিবি ক্রিকেটারদের নানাভাবে অপদস্ত করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতেই খবর চাউর হয়, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়কে আবারও নিষিদ্ধ করায় ক্রিকেটাররা সংবাদ সম্মেলন করবেন। প্রথমে দুপুর ১২টা শোনা গেলেও সেটি হয় সন্ধ্যা ৬টায়। সেখানে ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকে শুধু কথা বলেন তামিম ইকবাল।
তিনি বলেন শুধু তাওহীদ হৃদয় নয়, বিপিএলে ফিক্সিংয়ে ক্রিকেটারদের নাম ফাঁস হওয়া এবং চলতি ডিপিএলে সন্দেহজনক আউট হওয়া গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের দুই ব্যাটারকে মিডিয়ার সামনে সেটা করে দেখানো নিয়েও তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিসিবি সভাপতি ছাড়াও ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান ও ডিপিএল টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম আর আম্পায়ারস কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু উপস্থিত ছিলেন।
তামিম বলেন, ‘সর্বশেষ দুই তিন মাসে কিছু কিছু ঘটনা হচ্ছে যেটা নিয়ে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের মনে একটা কষ্ট ছিল। খেলোয়াড়রা সবাই খুবই অখুশি। কিছুদিন আগে আপনারা দেখেছেন গুলশান আর শাইনপুকুর ম্যাচে কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা এই জিনিসটা ক্রিকেট বোর্ডকে সরাসরি বলেছি যে দেখেন, যদি ওখানে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়ে থাকে বা কোনো খেলোয়াড় কোনো ধরনের ভুল করে থাকে, আমরা সবাই চাই এটার শাস্তি হোক। কিন্তু তার মানে এটা না যে আপনি ওই দুটা ছেলেকে নিয়ে গিয়ে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করাবেন, এমনটা করার অধিকার কারোর নেই। আপনি বিশ্বের কোথাও দুর্নীতি দমন কমিশনে এমন নিয়ম নেই আপনি ওই দুটা ছেলেকে বেইজ্জত করবেন মিডিয়ার সামনে, একই জিনিসটা অভিনয় করাই। এটা খেলোয়াড়কে ইনসাল্ট করা।’
গেলো বিপিএলে ফিক্সিং সন্দেহে ১০ ক্রিকেটারের নাম ফাঁস হয় বিসিবির অ্যান্টি করাপশন বিভাগ থেকে। এ প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘বিপিএলেও দশ জনের নাম বের হয়েছে, দশ জনের নাম মিডিয়াতে দেওয়া হয়েছে। আমরা সবাই চাই ওখান থেকে কেউ যদি দোষী হয় তার শাস্তি হোক। তার যতদূর শাস্তি দেওয়া সম্ভব দেওয়া হোক। কিন্তু ওখানে দুটা নির্দোষ বা আটজন নির্দোষ-তাদের নামগুলো লিক করে দেওয়াও ইনসাল্টিং। এই প্রত্যেকটা জিনিস নিয়ে আমরা হতাশ ছিলাম। এ জিনিস নিয়ে আমরা প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছি আসতে, উনি এসেছেন সঙ্গে আরও দুজন পরিচালক ছিলেন। আমরা লম্বা চড়া আলোচনা করেছি। আমাদের পয়েন্ট তুলে ধরে উনাকে বলেছি আমরা আপসেট। হৃদয়ের বিষয়টা আমরা বলেছি যে এটা কোনোভাবে হয় না। হ্যাঁ প্রথমে দুই ম্যাচ হয়ে গেলে সেটা ঠিক ছিল। কিন্তু এক ম্যাচ করে দুই ম্যাচ খেলতে দিয়ে আবার করা এটা আসলে হাস্যকর হয়ে যাচ্ছে।’