যুদ্ধের চেষ্টা করলে ভারতকে প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর

যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে ভারতকে ‘তীব্র ও প্রতিশোধমূলক’ জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার জেরে দুই দেশের উত্তেজনার মধ্যে এমন হুঁশিয়ারি দিলো পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার জেরে থেকে প্রতিবেশী দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওই হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হন।
নয়াদিল্লি এই হামলার জন্য পরোক্ষভাবে ইসলামাবাদকে দায়ী বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা এবং ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করা। এ ঘটনার পর পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে ইসলামাবাদও।
সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানও এই হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শুক্রবার (২ মে) রাওয়ালপিন্ডি শহরে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন কোরের কমান্ডারদের সম্মেলনে বিশেষ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনির।
সম্মেলনে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বিদ্যমান ভূ-কৌশলগত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তৃত পর্যালোচনা করেন। বিশেষ করে বর্তমান পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে উত্তেজনা এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর জোর দেয়া হয়।
আইএসপিআর জানায়, সম্মেলনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে ভারত যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে, পাকিস্তান প্রতিক্রিয়ায় শুধু প্রতিশোধই নেবে না, এমন জবাব দেবে যা তারা আগে কখনো দেখেনি।
আইএসপিআর আরও জানায়, সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, শান্তি ও উন্নয়নের পথে পাকিস্তানের যাত্রাকে কোনো সন্ত্রাসবাদ, জোরজবদস্তি বা আগ্রাসনের মাধ্যমে থামানো যাবে না। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে ভারত সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তা দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে মোকাবিলা করা হবে এবং পরাজিত করা হবে।