বাংলাদেশের লজ্জার হার!

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ২০৫ রান করে বাংলাদেশ। যা টি-২০ ফরম্যাটে নিজেদের চতুর্থ সর্বোচ্চ। জবাব দিতে নেমে এক বল থাকতে ২ উইকেটের ঐতিহাসিক জয় তুলে বাংলাদেশকে লজ্জায় ডুবালো আমিরাত।
এর আগে কখনও ১৭৩ রানের বেশি তাড়া করে না জেতা আইসিসির সহযোগী দেশটি আজ বাংলাদেশের ২০৫ রান তাড়া করে জিতলো!
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য আরব আমিরাতের প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। প্রথম ৫ বলে ১৩ রান দেওয়া শরিফুল ইসলাম ওভার থ্রোতে শেষ বলে দিলেন ৪ রান! শেষ ওভারের সমীকরণ দাড়ায় ১২ রান! ওয়াইড দিয়ে শুরু করা তানজীম হাসান সাকিব এরপর ফুলটস, নো সবই করলেন! ২ বলে ২ রান প্রয়োজন এমন সময়ে থ্রোটাও দেরীতে করলেন তাওহীদ হৃদয়! তাতে প্রথমবার ২০০ রান ডিফেন্ড করতে ব্যর্থ বাংলাদেশ।
এই হারে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ ১-১ সমতায় দাঁড়াল। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ আগামী ২১ মে মাঠে গড়াবে।
শারজাহ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ওপেনিং জুটিতে বড় রানের ভিত্তি পায়। অধিনায়ক লিটন দাস ও তানজিদ তামিম ৯.১ বলে ৯০ রানের জুটি গড়েন। তানজিদ ৩৩ বলে ৫৯ রান করে ফিরে যান। তিনি আটটি চার ও তিনটি ছক্কার শট মারেন। অন্য ওপেনার লিটন দাসের ব্যাট থেকে ৩২ বলে ৪০ রানের ইনিংস আসে। তিনি এদিন তিনটি চার ও একটি ছক্কা মারেন।
রান পান পরের দুই ব্যাটার নাজমুল শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়। এর মধ্যে ইমনের জায়গায় একাদশে ঢুকে শান্ত ১৯ বলে ২৭ রান করেন। তিনি দুটি চারের সঙ্গে একটা ছক্কা তোলেন। হৃদয় খেলেন দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস। তার ২৪ বলে সাজানো ইনিংসে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারের শট ছিল।
জবাবে নেমে ভালো শুরুর পর আমিরাত ওপেনার মোহাম্মদ জোহাইব ৩৪ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান। পরের ব্যাটাররা বড় রান করতে না পারলেও চারে নামা আসিফ খান ১২ বলে ১৯, পাঁচে নামা আলিশান শারাফু ৯ বলে ১৩ রানের দরকারি ইনিংস খেলেন। তাদের ইনিংস জুড়ে ছিলেন আমিরাতের অধিনায়ক ও ওপেনার ওয়াসেম। তিনি ৪২ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে নয়টি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছক্কা আসে। শেষে হায়দার আলী ৬ বলে ১৫ রান করে বাংলাদেশকে হারান।
বাংলাদেশের পেসাররা খুব খরুচে ছিলেন। বিশেষ করে তানজিম সাকিব ও নাহিদ রানা সুবিধাই করতে পারেননি। তানজিম নিজের প্রথম ৩ ওভারে ৪৩ রান খরচা করেন। নাহিদ শুরুর ৩ ওভারে দেন ৪৪ রান। ৪ ওভার শেষ করেন ৫০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে। বাঁ হাতি পেসার শরিফুল শুরুর ৩ ওভারে ১৭ রান দিলেও ৪ ওভার শেষ করেন ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে। ওই তুলনায় দুই স্পিনার কিছুটা ভালো করেছেন। তানভীর ৪ ওভারে ৩৭ রান দেন। রিশাদ ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট