জেনজ়িরা ঠোঁটে লাগাচ্ছে লিপ গ্লস

নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে ২০১০-এর শুরু দিক পর্যন্ত ট্রেন্ডে ছিল ওয়াইটুকে ফ্যাশন।
কথাতেই রয়েছে ‘ওল্ড ইজ় গোল্ড’। তা বলে পুরোনো দিন এ ভাবে ফিরে আসবে কে জানত! তাও নাকি লিপ গ্লস পরার ট্রেন্ড। আজকের যুগে দাঁড়িয়ে যেখানে ফ্যাশন ও বিউটির দুনিয়ায় নিত্যনতুন লুক, টুলস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, সেখানেই ঘুরে ফিরে চলে এল ওয়াইটুকে (Y2K)।
নব্বইয়ের দশকের শেষ থেকে ২০১০-এর শুরু দিক পর্যন্ত ট্রেন্ডে ছিল ওয়াইটুকে ফ্যাশন। লো-রাইজ় জিনস, ক্রপ টপ, বিভিন্ন ধরনের অ্যাকসেসরিজ়- কী ছিল না সেখানে! তারই অংশ ছিল লিপ গ্লসও।
লক্ষ করে দেখুন, জেন জ়ি-দের মধ্যে ধরা পড়ছে সেই ওয়াইটুকে ফ্যাশন। উজ্জ্বল রঙের ক্রপ টপ, ছেঁড়া জিনস, জাঙ্ক জুয়েলারির পাশে জেন জ়ি-রা ঠোঁটে বুলিয়ে নিচ্ছে লিপ গ্লস। নেটিজেনরা বলছেন, লিপ গ্লসের চল ফেরার পিছনে ওয়াইটুকে নস্ট্যালজিয়া কাজ করছে। কিন্তু এটাই একমাত্র কারণ নয়।
জেন জ়ি-রা ‘মিনিমালিস্ট’, ‘ক্লিন লুক’ ও ‘অ্যাসথেটিক’ লুকে বিশ্বাসী। যে প্রসাধনী ব্যবহার করলে তাদের লুক একদম ‘ন্যাচারাল’ দেখাবে, সেটাই বেছে নিচ্ছে তারা। লিপ গ্লস যে সব রঙে পাওয়া যায়, সেগুলো প্রাকৃতিক ও প্রাণবন্ত। তাই লিপ গ্লস পরলে ঠোঁটও উজ্জ্বল ও ন্যাচারাল দেখায়।
আজকাল যে সব লিপ গ্লস বাজারে রয়েছে, সেগুলোতে ভিটামিন ই, হাইলুরনিক অ্যাসিড ইত্যাদি উপাদান থাকে। এগুলো ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখে। তা ছাড়া এমন ভাবে লিপ গ্লস তৈরি হচ্ছে, যাতে দীর্ঘক্ষণ এটি ঠোঁটেই থাকে। আগে এই সুবিধাগুলো ছিল না। তাই আবারও ঘুরে ফিরিয়ে ঠোঁটে লিপ গ্লস বোলাচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।