কলাপাড়ায় রেড়িবাঁধ সহ স্লুইজ গেট ধ্বসে পড়ার শঙ্কা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত রেড়িবাঁধের উপর অর্ধ ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ একটি স্লুইজ গেট। চলতি বর্ষা মৌসুমের যেকোন ঘূর্ণিঝড়, জ্বলোচ্ছাস কিংবা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে অতিরিক্ত পানিতে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে এ স্লুইজ গেটসহ বেড়িবাঁধটি। এতে ফসলী জমির ক্ষতিসহ চরম দূর্ভোগের আশংকা করছেন ৮-১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের চান্দুপাড়া গ্রামের ৪৭/৫ পোল্ডার নাম্বারের স্লুইজ গেট, স্থানীয়দের কাছে যা কালামের স্লুইজ গেট নামে পরিচিত। অতিদ্রুত এটিকে সংষ্কার করা না হলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বিপত্তি।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজার থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দক্ষিণে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন স্লুইজ গেটটি অবস্থিত। কিছুদিন আগের নিম্নচাপ এবং অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধসহ স্লুইজ গেটটি প্রায় অর্ধেকের বেশি ভেঙ্গে গেছে। স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় অতিরিক্ত পানিতেই যেকোন সময় পুরোপুরি ভেঙ্গে যেতে পারে স্লুইজ গেটটি। এতে ওই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। ফলে, কৃষি জমির চাষাবাদসহ ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে ওই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষগুলোর।
স্থানীয় বদ্দর পহল্লান, ইব্রাহিম প্যাদা, ফরিদ বিশ্বাস ও চম্পা বেগমসহ অনেকেই জানান, স্লুইজ গেটটি খুবই খারাপ অস্থায় রয়েছে। যেকোন সময় এটি সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যাতায়তসহ গ্রামে পানি ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষিকাজের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। অতিদ্রুত বেড়িবাঁধসহ স্লুইজ গেটটি সংষ্কারের দাবী জানান তারা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মাসুদ বলেন, বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এ স্লুইজ গেটটি খুবই দূর্বল অবস্থায় রয়েছে। যেকোন সময়ে এটি ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্লাবিত হতে পারে। অতিদ্রুত এটাকে সংষ্কার করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহ্ আলম বলেন, বিগত জলোচ্ছ্বাসে চান্দুপাড়া এলাকায় ৪৭/৫ নাম্বার স্লুইজ গেটটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটি আমরা জেনেছি। খুব দ্রুত এটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি জানান।