‘অতিরিক্ত ওষুধ খাবেন না, মৃত্যু হতে পারে’ শেফালীর মৃত্যু নিয়ে রোষানলে পায়েল

শেয়ার করুন

নাম না করে শেফালী জরীওয়ালার মৃত্যু নিয়ে মশকরা করলেন পায়েল রোহতগী! এক সাংবাদিককে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রয়াত অভিনেত্রীকে নিয়ে মন্তব্য করেন পায়েল। সেই হোয়াটস্অ্যাপ কথোপকথনের প্রতিচ্ছবি (স্ক্রিনশট) ছড়িয়ে প়়ড়তেই কটাক্ষ ধেয়ে যায় পায়েলের দিকে। এমনকি অভিনেত্রীকে অমানবিক বলেও দাবি করেন অনেকে।

বুধবার খবর ছড়ায়, পায়েল ও তাঁর স্বামী সংগ্রাম সিংহের দাম্পত্যে চিড় ধরেছে। সেই বিষয়ে অভিনেত্রীকে প্রশ্ন করতেই এক সাংবাদিককে খোঁচা দেন পায়েল। শেফালীর বয়স ধরে রাখার ওষুধ নিয়ে খোঁচা দেন অভিনেত্রী।

সাংবাদিক পায়েলকে লিখে পাঠান, “পায়েল, আশা করছি আপনি ভাল আছেন। কয়েকটি প্রতিবেদনে দেখলাম, আপনার ও সংগ্রামের মধ্যে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং আপনারা বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। এই খবরে কি কোনও সত্যতা রয়েছে? এটুকুই জানার ছিল।”

সরাসরি উত্তর না দিয়ে পায়েল লেখেন, “বিজয়, আপনি অবসাদে ভুগছেন, জানতে পেরে খুব খারাপ লাগছে। দয়া করে অনিয়ন্ত্রিত ওষুধ খেয়ে ফেলবেন না। তাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।” এই উত্তর পেয়ে সাংবাদিক লেখেন, “আমি এই নিয়ে কোনও প্রতিবেদন লিখছি না। কয়েকটি প্রতিবেদনে দেখে আপনার কাছে জানতে চাইলাম।” এর উত্তরে ফের পায়েল লেখেন, “তা হলে বলতে হয়, বয়স ধরে রাখার ওষুধ খেয়ে আপনার এই অবস্থা হয়েছে।”

এই প্রতিচ্ছবি পায়েল নিজেই ভাগ করে নিয়েছেন। এর পরে সাংবাদিক জানান, তিনি তাঁর কাজটুকুই করছেন মাত্র। পেশাগত দায় থেকেই এই প্রশ্ন করেছেন। তখন পায়েল আবার ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, “আমার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যখন মশকরা করেছিলেন, আমি কোনও প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলাম? আমার সঙ্গে এ সব করার চেষ্টা করবেন না। যান, প্রতিবেদন লিখুন।”

এই প্রতিচ্ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসতেই চটে যান নেটাগরিকেরা। এক নেটাগরিক লেখেন, “সাংবাদিক নিজের কাজ করছিলেন। প্রশ্ন সহ্য করতে না পারলে, জনসমক্ষে নিজের জীবন তুলে ধরবেন না। আর সবচেয়ে খারাপ বিষয় হল, শেফালী জরীওয়ালার মৃত্যু কী ভাবে হল, সেটা নিয়ে একটা জঘন্য মন্তব্য করেছেন। এই মন্তব্য খুবই নিষ্ঠুর ও লজ্জাজনক।”

উল্লেখ্য, ২৭ জুন মৃত্যু হয়েছে শেফালী জরীওয়ালার। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। শোনা গিয়েছে, তিনি নাকি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বয়স ধরে রাখার ওষুধ খেতেন।


শেয়ার করুন

Similar Posts