লন্ডনে উড্ডয়নের পরই বিমান বিধ্বস্ত

দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের সাউথেন্ড বিমানবন্দরে উড্ডয়নের পরেই বিধ্বস্ত হয়েছে একটি বিচক্র্যাফট বি ২০০ উড়োজাহাজ। এ ঘটনায় বিমানবন্দরটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে সব ফ্লাইট।
রোববার (১৩ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে ঘটেছে এই ঘটনা। খবর রয়টার্সের।
সাউথেন্ড অন-সি এলাকায় ১২ মিটার দীর্ঘ একটি উড়োজাহাজে আগুন লাগার ঘটনা এসেক্স পুলিশ এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা জানতে পেরেছি যে বিকেল ৪টার দিকে সাউথেন্ড বিমানবন্দরে ১২ মিটার দীর্ঘ একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা এবং জরুরি পরিষেবা কর্মীরা বর্তমানে ঘটনাস্থলে আছেন এবং নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন। আরও বেশ কয়েক ঘণ্টা তারা সেখানে থাকবেন।”
“সাধারণ লোকজনকে অনুরোধ করছি যে যতক্ষণ আমাদের কাজ চলবে— ততক্ষণ যেন তারা বিমানবন্দর এলাকা এড়িয়ে চলেন।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুলিশ, জরুরি পরিষেবা এবং বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। পূর্ব ঘোষিত সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।
বিচক্র্যাফট বি ২০০ একপ্রকার ছোট উড়োজাহাজ। ২ জন পাইলট এবং সর্বোচ্চ ৯ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি উড়তে পারে। দুর্ঘটনার সময় উড়োজাহাজটিতে কতজন যাত্রী ছিল কিংবা আদৌ ছিল কি না- সে সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি এসেক্স পুলিশ। দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যাও এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেল ৪টার দিকে সাউথেন্ড বিমানবন্দর থেকে নেদারল্যান্ডসের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বিমানটি; কিন্তু ওড়ার পরমুহূর্তেই তা ভেঙে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বিমানের ভগ্নাবশেষ। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারদিক।
এসেক্স কাউন্টি ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস জানায়, বিকেল ৩টা ৫৮ মিনিটে তারা দুর্ঘটনার খবর পায়। সাউথেন্ড থেকে দুটি, রেলি ওয়েইর থেকে একটি এবং বাসিলডন থেকে দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বিলেরিকি ও চেলমসফোর্ড থেকে আনা হয় অফ-রোড যান। সম্ভব হলে মানুষজনকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে বলেছেন তারা।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্লাইটরাডার ২৪ জানিয়েছে, ধ্বংস হওয়া বিমানটি ছিল নেদারল্যান্ডভিত্তিক উড়োজাহাজ পরিষেবা সংস্থা জিউশ এভিয়েশনের। অসুস্থ রোগীদের পরিবহন করার কাজে ব্যবহার করা হতো উড়োজাহাটিতে এবং সেটির ভেতরে বিভিন্ন মেডিকেল সরঞ্জাম ছিল। বিধ্বস্ত হওয়ার সময় বিমানটিতে যাত্রী ছিল কি না-তা এখনও জানা যায়নি।