মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২

শেয়ার করুন

রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান সোমবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত সাড়ে ১০টায় একজন এবং ১২টার দিকে আরেকজন মারা গেছেন।

ভয়ংকর এই দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া অধিকাংশই শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১৭টিই শিশু। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে বিমানটির পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম এবং শিক্ষিকা মেহেরীন চৌধুরী (৪৬) মারা গেছেন। আহত ও দগ্ধ ১৭১ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ২৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৮ জনের মরদেহ অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। সেখানে উদ্ধার অভিযান চালায় সেনাসদস্য, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ঢাকার কোন হাসপাতালে কতজনকে আহত অবস্থায় ভর্তি করানো হয়েছে অথবা মৃতদেহ রয়েছে, তার একটি তালিকা দিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর। সেই তালিকা অনুযায়ী কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আহত আটজন, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আহত ৭০ জন, ঢাকা মেডিকেলে তিনজন, সিএমএইচে আহত ১৭ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন, উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে ১১ জন, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে আহত ৬০ জন, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আহত একজনসহ ১৭১ জন আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। এ ছাড়া বার্ন ইনস্টিটিউটে দুজনের মরদেহ, ঢাকা মেডিকেলে একজনের মরদেহ, সিএমএইচে ১২ জনের মৃতদেহ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে দুজনের, লুবনা জেনারেল হাসপাতালে দুজনের এবং উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে একজন রয়েছে।


শেয়ার করুন

Similar Posts