মার্কিন আরোপিত ৩৫ ভাগ শুল্কের কিছুটা কমার আশাবাদ অর্থ উপদেষ্টার

বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত বাড়তি ৩৫ শতাংশ শুল্ক কিছুটা কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (২৩ জুলাই) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের এটা নেগোশিয়েশনের সময়। আমরা আশা করছি, শুল্ক কিছুটা কমে আসবে। আমরা তো চেষ্টা করছি।
আমেরিকা থেকে গম আমদানি করলে দাম অনেক বেশি খরচ পড়বে কিনা- এমন প্রশ্নে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, দাম কিছুটা বাড়বে, তবে কিছু সুবিধাও আছে। আমরা একটু ডাইভারসিফাই করছি। তাদের ইমপিউরিটি তুলনামূলকভাবে কম, প্রোটিন কনটেন্টও একটু ভালো। আমাদের জন্য এটা দরকার হবে নেগোশিয়েশনের সময়। এটা আমাদের জন্য সহায়ক হবে।
শুল্ক কার্যক্রমের সময়সীমা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো আট দিন বাকি আছে। এর মধ্যে তারা তৃতীয় দফার জন্য যেতে বলেছে কিনা, জানি না। তবে, বাণিজ্য উপদেষ্টা যাবেন, তিনি টিম নিয়ে যাবেন, যদিও বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। আমি দেখেছি আপনারা গ্রাফিক্স করে, বারকোড দিয়ে দেখাচ্ছেন- কিন্তু এগুলো তো এখনো কার্যকর হয়নি। তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) ১ তারিখের আগেই যাবেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আমি আমার চ্যানেলে ইউএস চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেছি।
ব্যবসায়ীরা এই ইস্যুতে লবিস্ট নিয়োগের কথা বলছেন- এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এই পর্যায়ে লবিস্ট নিয়োগ কতটা কার্যকর হবে জানি না। লবিস্টরা সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে। কিন্তু এখনকার সিদ্ধান্তগুলো খুব দ্রুত, উচ্চ পর্যায়ে হচ্ছে। নেগোশিয়েশনের সময় ব্যবসায়ীরা যদি বলেন, ‘আমরা গেলে কাজ হবে’- তা বাস্তবসম্মত নয়। টেবিলে ব্যবসায়ীদের প্রবেশাধিকার থাকবে না। আমি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ও এডিবিতে নেগোশিয়েট করে এসেছি। ব্যবসায়ীরা তো গেট পর্যন্তও ঢুকতে পারবে না, পরে বাইরে হইচই করবে। ওই হইচইয়ে কাজ হবে না।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাইভেট সেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমি ইউএস চেম্বার অব কমার্সের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে, ‘আমরা তো কথা বলেছি’। কারণ আমাদের একটা ভালো ইমেজ ও ইমপ্রেশনস রয়েছে।