কলাপাড়ায় সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের গাছ কেটে স্থাপন নির্মাণ

শেয়ার করুন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বেড়িবাঁধের উপর সৃজনকৃত বন বিভাগের সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের গাছ কেটে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। বন বিভাগ ও পাউবোর কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে বন বিভাগ ও পাউবো কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করলেও দৃশ্যমান কোন আইনী পদক্ষেপ।

জানা গেছে, পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের ধোলাই মার্কেট সংলগ্ন বেড়িবাঁধের সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের আওতায় বন বিভাগ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে। টেকসই বেড়িবাঁধ ও জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব থেকে উপকূলকে বাঁচাতে এ গাছ রোপণ করা হয়। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ বেড়িবাঁধে রোপণকৃত গাছ কেটে ব্যবসা পরিচালনার জন্য কয়েকটি স্থাপনা নির্মাণ করছে। এতে বেড়িবাঁধের স্লপের মাটি ক্ষয়ের পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়েছে উপকূলের রক্ষা কবজ সবুজ বেষ্টনী প্রকল্পের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী রাকিব হাওলাদার, রবিউল মোল্লা, আ: জলিল আকন, মহিম হাওলাদার ও আ: রশিদ হাওলাদার বেড়িবাঁধের উপর বনবিভাগের সৃজনকৃত গাছ কেটে স্থাপনা নর্মাণ করছে। যা পরবর্তীতে ভাড়া দেয়া হবে। যা বন বিভাগ এবং পাউবো কর্মকর্তাদের অবহিত করা হলেও রহস্য জনক কারণে কোন আইনী ব্যবস্থা নেয়নি এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

ধোলাই মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব হাওলাদার বলেন, এ রাস্তায় যখন মাটির কাজ হয়েছে তখনই আমরা গাছ লাগাইতে দেইনি। সেখানে আমরা ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়ে দুইটি ঘর তুলছি। এ জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের।

এ বিষয়ে গঙ্গামতি বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বেড়িবাঁধের উপর আমাদের রোপণকৃত গাছের মধ্যে দোকান ঘর নির্মাণে বাঁধা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারা বাঁধা শুনছেন না।

মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। পরিদর্শন করে আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে পাউবো কলাপাড়া সার্কেলের ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট মো, তারিকুজ্জামান তুহিন বলেন, ধোলাই মার্কেটে দোকান ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে ফোনে তাকে স্থানীয় একজন জানিয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


শেয়ার করুন

Similar Posts