নিম্নচাপ: ১৫ জেলায় ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে দেশের ১৫ জেলা ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) আবহাওয়ার দুই নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপিশ্চম দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার বিকেলে ৩টায় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১ থকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়া, রাঙ্গাবালী ও গলাচিপা উপজেলায় ব্যাপক বাতাস বইছে। থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। নদ-নদীর পানির উচ্চতা দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
দু’দফা জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে বেঁড়িবাধের বাইরের নিম্নাঞ্চল। এদিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে।