কলাপাড়ায় চলছে জম জমাট সুদ ব্যবসা

গোফরান পলাশ, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সুদ ব্যবসায়ীরা। মানুষের বিশেষ প্রয়োজন, অভাব-অনটন কে কাজে লাগিয়ে একটি অসাধু প্রভাবশালী গোষ্ঠী চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে। কোন বৈধতা না থাকলেও নির্বিঘ্নে তারা আর্থিক সহায়তা দেয়ার নামে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে করে ব-আইনী সুদ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এনিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কিংবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেন কিছু করার নেই, এমনই দম্ভ তাদের।
সূত্র জানায়, ভাদ্র-আশ্বিন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপকূলীয় এলাকার কৃষি নির্ভর মানুষের অভাবের মাস। এ সময় ওই এলাকার কৃষকদের আমন চাষাবাদে বিনিয়োগের সাথে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করতে হিমশিম খেতে হয়।
ফলে কৃষক এলাকার সুদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা এনে চাষাবাদ কিংবা পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করেন।এসব সুদ ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে তাদের রমরমা সুদের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন বছরের পর বছর। এদের কেউ করছেন, দোকান পেতে, কেউ করছেন বাসায়, আবার কেউ করছেন ভ্রাম্যমান।
এসব সুদ ব্যবসায়ীরা মানুষের অভাবকে পুজিঁ করে তাদের এ সুদ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে কেউ কেউ টাকার বিপরীতে জমা রাখছেন স্বর্নালংকার, আবার অনেকে বিশ্বাসের উপর চালিয়ে যাচ্ছেন এ ব্যবসা। এসব সুদ ব্যবসায়ীদের মধ্যে রাজনীতিবিদ, এলাকার অনেক প্রভাবশালীরাও জড়িত রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন বাসা-বাড়ীতে মহিলারও এ সুদ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ সুদ ব্যবসায়ীরা শতকরা তিন টাকা থেকে শুরু করে ৭/৮ টাকা করেও সুদ নিচ্ছে। কলাপাড়া পৌরসভা সহ উপজেলার সকল ইউনিয়নে অন্তত: ১৫০ থেকে ২০০ মানুষ এ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। এদের কতিপয়ের লাইসেন্স থাকলেও অধিকাংশরাই করেন গোপনে। এতে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে,তেমনি একজনের দেখাদেখি অন্যরাও ঝু্ঁকে পড়েছে এ ব্যবসায়।
এদিকে, সুদ এ ব্যবসার বিরুপ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মো.খলিলুর রহমান নামে এক কৃষক বলেন, ইসলামে সুূদের এ ব্যবসা হারাম।
তবে তিনি কটুক্তি করে বলেন, গ্রাম-গঞ্জে এখনও এমন কথা প্রচলিত রয়েছে, পাঁচজন সুদ ব্যবসায়ীর নাম কাগজে লিখে গরু কিংবা ছাগলের গলায় ঝুলিয়ে দিলে পোকা দমন হয়।