কুটুক্তির অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা

শেয়ার করুন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে কুটুক্তির অভিযোগে বহুল বিতর্কিত সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

সোমবার (১লা সেপ্টেম্বর) দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ী আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (৩য় আদালত) রোমানা আক্তার এ পরোয়ানা জারি করেন।

সূত্র জানায়, ডা. মুরাদ হাসান পতিত সরকারের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন ২০২১ সালে পানসিয়ানা নামের ইউটিউব ও ফেসবুক পেইজের টক-শোতে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।

টক-শোর বক্তব্যগুলো মিথ্যাচার, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ হওয়ায় ১০ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতি ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে—উল্লেখ করে সরিষাবাড়ী উপজেলার ট্রাক মালিক সমিতির সহ-সভাপতি ও চেচিয়াবাঁধা গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা লায়ন মো. রুমেল সরকার বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অন্য আসামী হলেন-টক-শোর উপস্থাপক চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে মহি উদ্দিন হেলাল নাহিদ।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চলতি বছরের ১৯ মে মামলাটির শুনানি হয় এবং ২৪ মে ডা. মুরাদ হাসান ও টক-শো’র উপস্থাপকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন। আসামীদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেও তিনমাসেও তারা হাজির হননি। সোমবার বিজ্ঞ আদালত ডা. মুরাদ হাসান ও মহি উদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

জানা গেছে, মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসন থেকে দুইবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি “ধরাকে সরা জ্ঞান” করতে থাকেন। জড়িয়ে পড়েন নানা অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে। মুখরোচক ও অশ্লীল শব্দোচ্চারণে আলোচিত হয়ে উঠেন সারা দেশে। এরইমধ্যে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অডিওকল ভাইরাল হলে সরকার ও দলের মধ্যে চাপে পড়েন। বাদ পড়েন মন্ত্রণালয় থেকে। এদিকে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার পতনের পর থেকে তার খোঁজ মিলেনি।


শেয়ার করুন

Similar Posts