সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গির মরদেহ ৮ মাস পর উত্তোলন

প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গী
শেয়ার করুন

জামালপুরের প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গীর মৃত্যুর ৮ মাস পর দ্বিতীয় স্ত্রীর করা হত্যা মামলায় পূণরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের ঘটনাটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ১ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টায় বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে প্রবীণ এই সাংবাদিকের লাশ মেলান্দহ উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর নাংলা কাঠপাড়া এলাকার পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। তিনি জামালপুরের বহুল প্রচারিত দৈনিক পল্লীকণ্ঠ প্রতিদিনের সম্পাদক-প্রকাশক, সহ মেলান্দহ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং জামালপুর প্রেসক্লাবের কার্যনিবার্হী সদস্য ছিলেন।

গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাতে জামালপুর শহরের বানিয়াবাজার এলাকায় দুইটি ইজিবাইক চাপায় গুরুতর আহত হন স্থানীয় ‘দৈনিক পল্লীকন্ঠ প্রতিদিন’ সম্পাদক ও প্রকাশক নূরুল হক জঙ্গি (৭৫)। স্থানীয়রা তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত সাংবাদিক নূরুল হক জঙ্গি নাংলা ইউনিয়নের কাঠপাড়া এলাকার প্রয়াত আব্দুল হামিদের ছেলে। তার মৃত্যুর পরদিন পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। প্রবীন এই সাংবাদিকের মৃত্যুর ঘটনায় পারিবারিক কলহ ও রহস্যের সৃষ্টি হলে চলতি বছরের মে মাসের দিকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমা আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নূরুল হক জঙ্গির প্রথম স্ত্রী খায়রুন নেছা কাজলী, জামাতা জুলহাস, দুই মেয়ে জেবুননেছা কাকলী ও জিন্নাতুননেছা কনা এবং দৈনিক পল্লীকন্ঠ পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্ত দেয়া হয় পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) কে।

এরই প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত পিবিআইকে এই মামলার সুষ্ঠ তদন্ত এবং পূণরায় লাশ উত্তোলনের নির্দেশ দেয়া হলে ১ সেপ্টেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মেলান্দহ ইউএনও জনাব এস.এম. আলমগীর, পিবিআই ও পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন । ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পিবিআই এর পরিদর্শক মোশারফ বলেন, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য নূরুল হকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ আবার আগের জায়গাতেই পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য যে বিগত ৩১ আগস্ট দিবাগত রাতে নূরুল হক জঙ্গীর দ্বিতীয় স্ত্রী দিলরুবা ইয়াসমিন রুমার ফেসবুকে তার স্বামীর লাশ উত্তোলনের বিষয়ে একটি পোস্ট করলে তা নিয়ে হইচই পড়ে যায়। পরদিন সকাল থেকেই গণমাধ্যমকর্মীসহ স্থানীয়রা ওই সাংবাদিকের কবরস্থানে ভীড় করেন।

লাশ উত্তোলনকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, মামলার বাদি-বিবাদী, নাতি-নাতনী সহ শুভাকাঙ্খিদের হৃদয় বিদারক বিলাপ-আর্তির করুন দৃশ্য।


শেয়ার করুন

Similar Posts