শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে থাকলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না

শেয়ার করুন

কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বা সদস্য হিসেবে থাকলে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া যাবে না। এমন বিধান যুক্ত করে সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংশোধিত আরপিওর খসড়া আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত ব্যক্তিরাও সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।

এ ছাড়া আদালত কর্তৃক ঘোষিত ফেরারি আসামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন, এমন বিধান আইনে যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এটিসহ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত আইন প্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) আরও বেশ কিছু সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশনের এ প্রস্তাব মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে। ইসির কর্মকর্তারা জানান, ইসির প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয় ভেটিং করে (অনাপত্তি দিয়ে) পরে তা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে তোলা হবে। উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হলে এরপর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আইনে সংশোধনী যুক্ত হবে।

ফেরারি আসামিদের নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান সংযোজনের সুপারিশ করেছিল নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। তবে তখন এই প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত করেছিল ইসি। তারা বলেছিল, এমন বিধান অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হতে পারে, এটি নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রয়োজন।

আগে দ্বিমত করে এখন কেন এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হলো, এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বলেন, বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন আলোচনা করেছে। আলোচনায় নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট হয়েছে এবং মনে করেছে এমন বিধান রাখা ভালো হবে। তিনি বলেন, সামনে যদি এটির অপব্যবহার হয়, তখন প্রয়োজনে আবার সংশোধন করা যাবে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কেউ অভিযুক্ত হলে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার বিধান করার প্রস্তাব ছিল সংস্কার কমিশনের। তবে এটি ইসির প্রস্তাবে রাখা হয়নি।


শেয়ার করুন

Similar Posts