আমতলীতে ক্রাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে দুই বংশের সদস্যদের দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত-২৫

ক্রাম বোর্ড খেলাকে মজনু চৌকিদার ও রফিকুল ইসলাম মীর দুই বংশের সদস্যদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় আহতদের গ্রামবাসী উদ্ধার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১১ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামে ওইদিন বিকেলে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির স্বামী মজনু চৌকিদারের উত্তর তক্তাবুনিয়া গ্রামের মুদি দোকানে শনিবার সকালে যুব মীর (১৯), আরাফাত মীর (২৫) ও রাফি মীর (২০) ক্রাম খেলছিল। ওই সময় দোকান মালিকের ছেলে হাসান চৌকিদারের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় মজনু চৌকিদারের লোকজন তাদের পিটিয়ে জখম করে। তাদের মারধরের বিষয়টি জানতে রফিকুল ইসলাম মীর ও তার লোকজন শনিবার বিকেলে নারী ইউপি সদস্যের বাড়ীতে যান। ওই সময় দুই বংশের সদস্যরা দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। দফায় দফায় সংঘর্ষে দুই পক্ষের ২৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত রফিকুল ইসলাম মীর (৪০), আমির হামজা মীর (৩৩), শামীম মীর (৩০), নাশির উদ্দিন মীর (৬৫), আলমাস মীর (৪৮), মালেক মীর (৫০), আল আমিন মীর (৩২), জাহিদুল মীর (২৮). মিলন মীর (৩৫) ও সাইফুল মীর (২৫), মজনু চৌকিদার (৬০), রিয়াজুল চৌকিদার (৩৫), মমিনুল চৌকিদার (৪৫), হাসান চৌকিদার (২৫), মাহবুব চৌকিদার (৪৫), আবুল বাসার চৌকিদার (৫০), তাসলিমা (৪৫) ও নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলিকে (৫০) গ্রামবাসী উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ লুনা বিনতে হক তাদের মধ্যে ১১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। অপর আহতদের আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ক্রাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে চৌকিদার বংশ ও মীরা বংশের লোকজনের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক লোক আহত হয়েছে।
আহত রফিকুল ইসলাম মীর বলেন, ক্রাম বোর্ড খেলাকে কেন্দ্র করে নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির স্বামী মজনু চৌকিদার ও তার লোজন আমার তিন ভাইয়ের ছেলেকে মারধর করেছে। এর কারন জানতে তার (নারী ইউপি সদস্যের) বাড়ীতে গেলে পরিকল্পিতভাবে তার লোকজন আমাদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এতে আমার পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে।
মজনু চৌকিদারের ভাতিজা মমিনুল চৌকিদার বলেন, নারী ইউপি সদস্য হেনা বুলবুলির ছেলে হাসান চৌকিদারকে মীরা বংশের লোকজন মারধর করেছে। এ বিষয় নিয়ে দুই বংশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তিনি আরো বলেন, মীরা বংশের লোকজন আমার বংশের ১০ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। পরে তারা আহতদের হাসপাতালে আনতে বাঁধা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ লুনা বিনতে হক বলেন, গুরুতর আহত ১১ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।