মার্কিন নাগরিকের ‘সহযোগী’ সাংবাদিক আজহার আলী সরকার রিমান্ডে

ঢাকায় ‘সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির’ সময় গ্রেফতার মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর ‘সহযোগী’ সাংবাদিক আজহার আলী সরকারকে চার দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আজহার আলীকে।
শনিবার তাকে আদালতে তুলে সাত দিনের রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর আক্তার মোর্শেদ।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আজহার আলীসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা এনায়েত করিম চৌধুরীর সঙ্গে যোগসাজস করে বিভিন্ন সময়ে দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির করছেন। বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ ককরতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে এবং উচ্চপদস্থ লোকজন ও ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে গোপনে সভা-সমাবেশও করেছেন তারা।
রাষ্ট্রপক্ষর আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আজহার আলীর সাত দিনের রিমান্ডের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরি। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। আসামিও আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি আদালতকে বলেছেন,তিনি একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। তিনি বর্তমান রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দুইবার দেখা করেছেন। এ কারণে তাকে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোড এলাকায় প্রাডো গাড়িতে করে ‘সন্দেহজনকভাবে’ ঘোরাঘুরি করছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী। তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তার গাড়ি থামায়। কেন এখানে ঘোরাঘুরি করছেন, জানতে চাইলে তিনি পুলিশকে কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
পরে তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। মামলায় সম্পৃক্ত থাকায় তার সহযোগী এসএম গোলাম মোস্তফা আজাদ এবং জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশীদ গ্রেফতার করা হয়। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।