রাজনীতিতে ঐক্যের চেয়ে অনৈক্য বেশি দৃশ্যমান: রুহুল আমিন হাওলাদার

শেয়ার করুন

জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনীতিতে আরো সুসংহত ঐক্য প্রতিষ্টা দরকার ছিল। কিন্তু দেশের রাজনীতিতে এখন ঐক্যের চেয়ে অনৈক্য বেশি দৃশ্যমান। একদিকে নানামুখী অস্থিরতা,সংশয়,নিরাপত্তাহীনতা
অপরদিকে রাজনৈতিক অনৈক্য , এর মধ্যে আদৌ সরকার অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবে কিনা তা নিয়ে জনগণের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর ) সকালে রাজধানীর গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক , জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সেন্টু, উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, আমানত হোসেন, আব্দুল আজিজ, কাজী নাসির উদ্দিন সরকার, আব্দুস সাত্তার, মাসুম ও এম এ হাশেম প্রমুখ।

এ সময় রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন,অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বারবার জোর দিয়ে বলছেন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের জন্য যে ধরনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার সেটা এখনো দৃশ্যমান দেশে নয়। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সংকটজনক, উদবেগ জনক। চারদিকে হতাশা, অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে মানুষ। সম্প্রতি রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রামের ইপিজেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আমাদের শঙ্কিত এবং ব্যতীত করেছে। এই ধরনের অগ্নিকাণ্ড আমাদের গার্মেন্ট শিল্পের উপর বড় আঘাত। সরকারকে গার্মেন্ট শিল্প সহ সামগ্রিক শিল্প সেক্টরের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের সরকারকে মনে রাখতে হবে, গার্মেন্টস শিল্পের মাধ্যমে আমাদের সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়।

হাওলাদার আরো বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনমুখী দল। কারণ জাতীয় পার্টি বিশ্বাস করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেতে হলে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাছাড়া গণতান্ত্রিক চর্চা ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিকল্প নেই। তাছাড়া জাতীয় পার্টি দেশ এবং দেশের জনগণের পাশাপাশি পবিত্র সংবিধান রক্ষা এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখার জন্য নির্বাচনের পক্ষে থাকে। আগামীতেও জাতীয় পার্টি সে ধারা অব্যাহত রাখবে।


শেয়ার করুন

Similar Posts