বগুড়ায় ব্যবসায়ী স্বামীকে ১৫টি ঘুমের ট্যাবলে খাইয়ে অচেতন করে খুন, স্ত্রী ও প্রেমিক গ্রেফতার
বগুড়া নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদিঘী গ্রামে চাঞ্চল্যকর বেকারি ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পরকীয়া সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে স্বামীকে হত্যার অভিযোগে জহুরুল ইসলামের স্ত্রী শামীমা বেগম এবং তার কথিত পরকীয়া প্রেমিক বিপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনেই হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যার দিন রাতে জহুরুল ইসলামের স্ত্রী শামীমা বেগম খাবারের সাথে ১৫টি ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে স্বামীকে সেবন করান। বেশি পরিমাণ ঘুমের ঔষধ খাওয়ার ফলে জহুরুল ইসলাম পুরোপুরি অচেতন হয়ে গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন।
স্বামী সম্পূর্ণভাবে অচেতন হয়ে গেলে গভীর রাতে শামীমার প্রেমিক বিপুল বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর বিপুল অচেতন জহুরুলকে কাঁধে করে বাড়ি থেকে গ্রামের মাঠের দিকে নিয়ে যান। সেখানে স্ত্রী শামীমা এবং প্রেমিক বিপুল দুজনে মিলে তাকে হত্যা নিশ্চিত করেন। হত্যার পর মৃতদেহ দ্রুত একটি ধানক্ষেতে ফেলে রেখে তারা চলে যান।
এমন একজন নারীর জঘন্যতম অপরাধের কথা জানতে পেরে পুরো হাজরাদিঘী গ্রামের বাসিন্দারা চরম হতবাক ও স্তম্ভিত। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া ও ট্রাফিক) আতাউর রহমান হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন. এর সঙ্গে জড়িত বিপুল ও স্ত্রী শামীমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দী দিয়েছে। তিনি বলেছেন, এরা ছাড়াও অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা নিশ্চিত তদন্ত চলছে।
