মুন্সীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ১
মুন্সীগঞ্জ সদরের চরাঞ্চল মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে আরিফ মীর (৩৬) নামে একজন নিহত হয়েছে। একই সময় ইমরান (৩০) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ৭টায় চরডুমুরিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফ চরডুমুরিয়া গ্রামের খবির মীরের পুত্র।
স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রহিম মোল্লা ও আওলাদ মোল্লার গ্রুপের বহুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। ইউনিয়নটিতে প্রতিটি গ্রামে এই দুই গ্রুপের মধ্যে ইতোমধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এক গ্রুপে সংঘর্ষের নেতৃত্বে রহিম মোল্লা, অহিদ মোল্লা, আতিক মল্লিক। অপর গ্রুপে আওলাদ মোল্লা, উজির আলী।
এদিকে, সোমবার সকাল থেকে ইউনিয়নের ৯টি গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে। মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণে গ্রামগুলো প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যাপক পরিমাণ পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষ চলার কারণে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে।
নিহতের স্ত্রী পারুল বলেন, আমরা বিএনপি নেতা আওলাদ মোল্লার সমর্থক। ভোরে আমাদের গ্রামে হামলা চালায় আতিক মল্লিকের সমর্থকরা। তার স্বামী একজন দিনমজুর, সকালে রাস্তায় গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। আরিফ মীর তাদের পক্ষে দল না করায় তাকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
নিহতের বোন ফাতেমা বেগম বলেন, আমার ভাই একজন দিনমজুর নিরীহ লোক। তাকে আমার আপন চাচাতো ভাই শাহ কামাল খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করেছে। খুনি শাহ কামাল হচ্ছে আতিক মল্লিক ও রহিম মোল্লার ভাড়াটে সন্ত্রাসী। আমি এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
তিনি আরও বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘুমন্ত অবস্থায় পরিকল্পিতভাবে ইউনিয়নটির ১৬টি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সী মেডিকেল অফিসার মো. রুহুল আমীন জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে আরিফ মীরকে আমরা মৃত ঘোষণা করি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইমরান খান নামের একজনকে ঢাকায় পাঠাই। তাদের দুজনের শরীরেই গুলির চিহ্ন রয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাইফুল আলম জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে ইউনিয়নটির বিভিন্ন গ্রামে সংঘর্ষ চলছে। আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে, তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একজন মারা গেছে এখন আমরা দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে আছি, বিস্তারিত আরও পরে জনাতে পারব।
