সেতুর দাবিতে লংমার্চ, তেঁতুলিয়া নদী সাঁতরে পাড়ি দিলেন ২০ শিক্ষার্থী
দ্বীপজেলা ভোলাকে সড়কপথে বরিশালের সঙ্গে যুক্ত করার দাবিতে ঢাকামুখী লংমার্চের অংশ হিসেবে তেঁতুলিয়া নদী সাঁতার কেটে পাড়ি দিয়েছেন ২০ শিক্ষার্থী। ১১ নভেম্বর তারা জেলার চরফ্যাসন থেকে হেঁটে ঢাকামুখী এই লংমার্চ শুরু করেন। কর্মসূচির তৃতীয় দিনে শুক্রবার দুপুরে তারা ভোলার ভূখণ্ড থেকে সাঁতার কেটে বরিশাল পৌঁছেন।
আগের দুই দিনে প্রায় ১০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তারা ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া এলাকায় পৌঁছেন। সেখান থেকে দুপুর ১২টায় তেঁতুলিয়া নদীতে সাঁতার শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে নানা চরে বিশ্রাম নিয়ে বরিশালের লাহারহাটে পৌঁছতে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা বেজে যায়।
লংমার্চে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা চরফ্যাসন থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পথ হেঁটে যাবেন। এই পথে কোনো যানবাহন ব্যবহার করবেন না। এ কারণে নদী পাড়ি দিতেও নৌযান ব্যবহার করেননি।
লংমার্চ চলাকালে চরফ্যাসন, লালমোহন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদর ও বিভিন্ন হাট-বাজারে দাবির পক্ষে জনসাধারণের কাছে যান এসব শিক্ষার্থী। সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেটও বিতরণ করেন। ঢাকার সেতু ভবনের সামনে এই লংমার্চ শেষ হওয়ার কথা।
সেতু নির্মাণ ছাড়াও এসব শিক্ষার্থী চারটি দাবি তুলেছেন। এগুলো হলো– ভোলার ঘরে ঘরে পাইপলাইনে গ্যাস সংযোগ, গ্যাসভিত্তিক শিল্প ও কলকারখানা, মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ।
লংমার্চে অংশ নেওয়া মেহেদী হাসান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছি। সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কথা দিয়েছিলেন, আগামী ডিসেম্বরে ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু হবে। সে অনুযায়ী সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি দেখছি না। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের অন্যান্য দাবি পূরণেও কোনো অগ্রগতি নেই। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার চরফ্যাসন টাওয়ারের সামনে থেকে হেঁটে ভোলা থেকে ঢাকার সেতু ভবন অভিমুখী লংমার্চ শুরু করেছি। শুক্রবার তেঁতুলিয়া নদী সাঁতার কেটে বরিশাল সদরের দিকে এগোচ্ছি।’
