পাকুন্দিয়ায় সাংবাদিকসহ আ.লীগের নেতাকর্মীর নামে মামলা

শেয়ার করুন

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় সাংবাদিকসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ৩৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. খুরশীদ আলম বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় প্রধান আসামি হলেন-কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। মামলায় অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-জেলা শ্রমিক লীগের উপদেষ্টা সদস্য মো. আতাউল্লাহ সিদ্দিক মাসুদ, পাকুন্দিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ, এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মো. এখলাছ উদ্দীন, চরফরাদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন, সাংবাদিক মঞ্জরুল হক মঞ্জুসহ ৩৯ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। এছাড়াও মামলায় আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৪ নভেম্বর রাত ১টার দিকে মামলার বাদী খুরশীদ আলম কিশোরগঞ্জ থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে বাড়ি ফেরার সময় শ্রীরামদি এলাকায় কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যন্ত্র দিয়ে গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করেন। তারা সড়কে গাছ ও লাকড়ি জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দেন। এতে সড়কের দুইপাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।

এজাহারে আরও বলা হয়, দলটির নেতাকর্মীরা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি, জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির উদ্দেশ্যে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। তারা ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে দেন। পুলিশকে জানানো হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে ততক্ষণে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাখাওয়াৎ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার সকল আসামি পলাতক আছে। তবে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।


শেয়ার করুন

এই সম্পর্কিত