ঘুর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকলীয় অঞ্চলে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে উপজেলা প্রশাসনের মাইকিং
ঘুর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীর গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। শনিবার আবহাওয়ার সংকেত বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে উপকুলবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলা প্রশাসন জনসাধারণকে সাইক্লোণ সেল্টারে যেতে মাইকিং করেছে। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ সাইক্লোণ সেল্টারে যায়নি। মোখা মোকাবেলায় দুই উপজেলায় বরগুনা জেলা প্রশাসন ২০ মেট্টিক টন চাল ও নগদ এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। ওই চাল ও নগদ টাকা সকল ইউনিয়ন পরিষদে ভাগ করে দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামাল হোসাইন।
জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় মোখা পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দুরে দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী ও তালতলীকে ৮ নং মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগর ও পায়রা নদীতে মাছ ধরারত জেলে ট্রলার ও নৌকাকে নিরাপদ বরেয়ে বলে জানান ফকিরহাট মৎস্য সমিতির সহ-সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম। উপকুলীয় অঞ্চলে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে।
শনিবার আবহাওয়ার সংকেত বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে উপকুলবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। উপজেলা প্রশাসন জনসাধারণকে সাইক্লোণ সেল্টারে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ সাইক্লোণ সেল্টারে যায়নি বলে নিশ্চিত করেছেন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক মোঃ রিপন মুন্সি। সাগর ও নদী উত্তাল রয়েছে। সাগরের বড় বড় ঢেউ তীরে আচার খাচ্ছে। মোখা মোকাবেলায় বরগুনা জেলা প্রশাসন আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ২০ মেট্টিক টন চাল ও এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন। ওই চাল ও টাকা ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউনিয়নে ভাগ করে দিয়েছেন।
গাবতলী আবাসনের লালমিয়া বলেন, পরিস্থিতি বুঝে সাইক্লোণ সেল্টারে যাব। এখনো সাইক্লোণ সেল্টারে যাওয়ার মত পরিস্থিতি হয়নি।
আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের পায়রা নদী সংলগ্ন আফজাল শরীফ বলেন, নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আমতলী পৌরসভার সিপিপির টিম লিডার মোঃ রিপন মুন্সি বলেন, মানুষকে সাইক্লোণ সেল্টারে যেতে মাইকিং করেছি।
আমতলী সিপিপির সহকারী পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ঘুর্ণিঝড় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দুরে বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। উপকুলীয় অঞ্চলকে ৮নং মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জামাল হোসাইন বলেন, সকল সাইক্লোণ সেল্টারে শুকনা খাবার পৌছে দেয়া হয়েছে। আশ্রিত মানুষকে প্রয়োজন মত স্বেচ্ছাসেবকরা বন্ঠন করে দিবেন।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, জনসাধারনকে সাইক্লোণ সেল্টারে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন মোখা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ মেট্টিক টন চাল ও পঞ্চাশ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, উপকুলের ঝুঁকিপূর্ণ সকল মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মোখা মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে বরাদ্দ পেয়েছি তা সকল ইউনিয়ন পরিষদে ভাগ করে দেয়া হয়েছে।