নির্বাচনের সময়ে নির্বাচন কমিশনার যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই প্রশাসন চলবে: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

শেয়ার করুন

নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনার (ইসি) যেভাবে চাইবেন, সেভাবেই প্রশাসন চলবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ।

আজ রোববার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করবে নির্বাচন কমিশন। সেক্ষেত্রে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যেভাবে চাইবে, সেভাবেই চলবে। তবে একটি নির্বাচন সুন্দর করার জন্য আমাদের যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার, সেটা আমরা করব।

নির্বাচনের আগে দলীয়করণ করে ডিসি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন যিনি ডিসি, তিনি যখন রিক্রুট হয়েছেন, তখন হয়ত অন্য সরকার ক্ষমতায় ছিল। আমরা যোগ্যতা অনুযায়ী, সে অনুসারে তাদের পদায়ন করি। কেউ রাতারাতি ডিসি হয়ে গেছেন, এ কথা বলার সুযোগ কারও নেই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যারা ডিসি, তাদের রিক্রুট হয়েছে ২০০০ সালের আগে। কাদের কতটুকু প্রশিক্ষণ দিতে পেরেছি, সে অনুসারে একটি এসএসবি হয়, যেখানে তাদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে প্রেজেন্টেশন থাকে। তার আইকিউ টেস্ট করা হয়। কোথায় কোথায় কাজ করেছে, তা দেখা হয়। তার সাবেক তিনজন বসকে জিজ্ঞেস করা হয়, সে কাজে কতটা সংবেদনশীল ছিল। তার ভালো দিকগুলো কী, ত্রুটিগুলো কী!

তিনি বলেন, এভাবে অনেক কিছু যাচাই করে একজন ডিসির ফিটলিস্ট তৈরি করা হয়। যারা বিভিন্ন সময়ে রিক্রুট হয়েছে, তাদেরই ফিটলিস্ট তৈরি করা হয়। আর সরকারের একটি নীতি রয়েছে, যে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আমরাএ বিষয়ে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই এমন অঙ্গীকার করেছেন। আমরা এখন সেদিকেই যাচ্ছি।

তিনি জানান, সেটির জন্য সবাইকে নির্দেশনা দেয়া যাচ্ছে যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অতিকথন করা না হয়, যাতে প্রশাসনে ঝামেলা হতে পারে। কাজেই সবাইকে পেশাদারিত্ব ও সততার সঙ্গে কাজ করতে বলা হয়েছে। মানুষকে কাকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবেন, সেই সুযোগ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়। কিন্তু সরকারের কর্মকাণ্ড চলতে থাকে। যে কারণে প্রশাসনকে যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।

ভবিষ্যতে সরকারি চাকরির আবেদনে সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, এ ইস্যুতে চাকরিপ্রার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে বিষয়টি সহজ করা হবে।


তিনি বলেন, ‘এই যে ডিজিটাইজেশনের যুগে আপনারা নিশ্চয়ই দেখছেন, আমরা পরিবর্তনগুলো করছি। আমাদের কিন্তু এখন বিগ ডাটা। আমাদের বিগ ডাটা, ভোটার আইডিতে এগুলো সব থেকে যাবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেন, সেখানে কিন্তু আপানার সার্টিফিকেটগুলো, কোথায় কোথায় লেখাপড়া করেছেন, মেইন সার্টিফিকেটগুলোতে চলে আসবে।

আপনি চাইলে অনেক ডাটা দেখে নিতে পারছেন।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন এটা করব, তখন কোনো মানুষের একটা কোড নম্বর থাকবে। সেই কোডটা দিলে কিন্তু অরিজিনাল কি না আপনি দেখে নিতে পারছেন। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় এটা অল্প দিনের মধ্যেই ডিজিটাল বেইসড, স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, সেখানে আমাদের প্রত্যেকটা কাজ সহজ হয়ে যাবে।’

তিনি বলেন, ‘স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট গভর্নমেন্টস বা সরকার ব্যবস্থা।

সে ক্ষেত্রে আমাদের যে বিষয়টি আছে, এগুলো আমাদের মাথার মধ্যে আছে। আপনারা কিছুদিন দেখবেন, এগুলো সবই ডিজিটাইজড হয়ে যাবে এবং এটার (সত্যায়ন) কোনো প্রয়োজন হবে না।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, আমরা যত দ্রুত পারি এটার বিষয়ে কাজ করে সহজীকরণ করে দেব, যাতে কারো ভোগান্তি না থাকে।’

বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।


শেয়ার করুন

Similar Posts